বিজ্ঞাপন

‘নাসির মামলায় না পড়লে দলের জন্য মূখ্য ভূমিকা রাখতেন’

October 31, 2021 | 1:36 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আসামি নাসির ক্রিকেটার হওয়ায় অনেক জনপ্রিয়। আজ এ মামলায় না পড়লেও হয়তো তিনি এখন জাতীয় দলের সঙ্গে থাকতেন। দলের জন্য মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারতেন বলে দাবি করেন তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরুর।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে নাসির তামিমাসহ তিনজনের জামিন শুনানিতে অ্যাডভোকেট কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরু এসব কথা বলেন।

এর আগে একই আদালত মামলাটিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দাখিল করা প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ৩১ অক্টোবর আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। সে অনুযায়ী এদিন আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন জামিনের প্রার্থনা করেন।

প্রথমে আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরু জামিনের প্রার্থনা করে শুনানিতে বলেন, আসামি নাসির একজন ক্রিকেটার। তিনি আসামি তামিমাকে বিয়ে করেছেন। আসামি তামিমা তালাক না দিয়ে আসামি নাসিরকে বিয়ে করেছেন মর্মে বাদী মামলা করেন। তালাক কাজী অফিসে এন্ট্রি আছে। তালাকের নোটিশ পাঠানোর দায়িত্ব কাজীর। আর পোস্ট অফিস ডাক রশিদের কপি সংরক্ষণ করে কি করে নাই তা আসামিদের উপর বর্তায় না। আসামি নাসির ক্রিকেটার হওয়ায় অনেক জনপ্রিয়। আজ এ মামলায় না পড়লেও হয়তো তিনি এখন জাতীয় দলের সঙ্গে থাকতেন। দলের জন্য মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারতেন। আদালত সমন দিয়েছিলেন। আসামিরা স্বেচ্ছায় আদালতে এসেছেন। আসামিরা সমন অনুযায়ী স্বেচ্ছায় আসলে তাদের জামিন দেওয়া আদালতের একটি প্রাকটিস।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট ইসরাত হাসান জামিনের বিরোধীতা করে বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা থাকলেও জামিনের আবেদনে উল্লেখ করেন নাই। আইন অনুযায়ী নোটিশ সার্ভ করার দায়িত্ব কাজীর নয়, যিনি তালাক দিবেন তার উপর বর্তায়। ডাক রশিদ জালিয়াতির মাধ্যমে তালাক দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যা তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আসামিরা ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তালাক দেওয়ার কথা বলেছেন, কিন্তু তদন্তে বাদী এবং আসামি তামিমা ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হোটেলে থেকেছেন মর্মে উঠে এসেছে। আসামিরা সরকারি তথ্য জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজন করে তালাক দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তাই আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হোক।

উভয় পক্ষে শুনানি শেষে আদালত দশ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন এবং মামলা বিচারিক আদালতে বদলি হতে বলে জানান।

বিজ্ঞাপন

আদালতের আদেশের পর মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান জানিয়েছেন, তারা আসামিদের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করবেন।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন