বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের সুরক্ষার্থে গণমাধ্যমকর্মী আইন: তথ্যমন্ত্রী

November 3, 2021 | 10:30 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গণমাধ্যমকর্মী আইনের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি সম্প্রচার আইন প্রণয়নের কাজ চলছে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যমকর্মীদের উন্নয়ন এবং এ খাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের সুরক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করলে তাদের সুরক্ষা হয়। ওয়েজবোর্ডেও এ ব্যাপারে বলা আছে।

সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, একজন সাংবাদিক এত বছর চাকরি করার পর শূন্য হাতে চলে যাবে, এটা হওয়া উচিত নয়।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ‘আগামী নির্বাচনে পরিবর্তন আসবে’ এমন বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মহাসমুদ্রে আশাই একমাত্র ভরসা, এটি বিএনপি’র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই আশা নিয়েই উনারা বেঁচে আছেন। আশা থাকা ভালো, সবাই তো চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না। কিন্তু সেই পরিবর্তন বিএনপির জন্য মানুষ চায় কি না, এটি হচ্ছে প্রশ্ন। উন্নয়ন অগ্রগতি বাদ দিয়ে যারা মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে কিংবা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষকে জিম্মি করার, হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে তাদের জন্য মানুষ পরিবর্তন চায় কি না সেটিই প্রশ্ন।

রোজিনা ইসলাম ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন একইসঙ্গে সরকারি নথি চুরির অভিযোগে তিনি বিচারাধীন এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুরস্কার পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন। নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠান তাকে পুরস্কৃত করেছে এবং পাকিস্তানের একজন সাংবাদিকের হাত থেকে তার স্বামী পুরস্কার গ্রহণ করেছে। বাকি বিষয়টা বিচারাধীন বিধায় এ বিষয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।

এর আগে, বিএফইউজে নেতাদের সঙ্গে সভায় মন্ত্রী বলেন, বিএফইউজে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন। তারা যেভাবে সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করেছে তা গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার একটি উদাহরণ। এজন্য বিএফইউজে, নবনির্বাচিত কমিটি এবং নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন।

বিজ্ঞাপন

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৩ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতির পাশাপাশি সাংবাদিকদের সংখ্যাও বেড়েছে। নানান সমস্যাও দেখা দিয়েছে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোকে সব সময় নিজের সমস্যা মনে করে শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতার মধ্যে যতদূর সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উপমহাদেশে বা অন্য দেশে করোনাকালে বাংলাদেশের মতো সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়নি। দেশে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের কথা বহু বছর ধরে বলা হয়েছে, কিন্তু হয়নি। এখন ক্লিনফিড বাস্তবায়িত হয়েছে, দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল উপকৃত হচ্ছে। এ সময় টেলিভিশন থেকে কোনো চাকুরিচ্যুতি মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। করোনা চলে যাওয়ায় অন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের মতো গণমাধ্যমেও সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। করোনাকালে যাদের চাকরি গেছে, তারা আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, সহ-সভাপতি মধুসূদন মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মামুনুর রশীদ, দফতর সম্পাদক সেবিকা রাণী, সদস্য উম্মুল ওয়ারা সুইটি, ড. উৎপল কুমার সরকার, শেখ নাজমুল হক ও নুরে জান্নাত সীমা সভায় অংশ নেন।

সারাবাংলা/জেআর/একেএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন