বিজ্ঞাপন

ঢাবি রোকেয়া হলে ‘অশ্লীল গানে’ নাচতে বাধ্য করার অভিযোগ

November 17, 2021 | 10:15 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রথম বর্ষের দু’জন আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, ‘অশ্লীল গানে’র তালে তাদের নাচতে বাধ্য করেছেন একই হলের তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন— জুলি মারমা, নাসরিন জাহান খুশি, জান্নাত নিপু, পূজা দাস ও রিনাকী চাকমা।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনায় বুধবার (১৭ নভেম্বর) ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর একজন আয়েশা আক্তার রিজু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী অন্য শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি।

অভিযোগপত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত সময়জুড়ে হলের অপরাজিতা ভবনের এক্সটেনশন ৪-এ ওই ঘটনা ঘটে। অভিযোগপত্রে আয়েশা রিজু লিখেছেন, গতকাল (মঙ্গলবার) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টা নাগাদ এক্সটেনশন ৩-এর কয়েকজন আপু আমার রুমে আসেন। তারা হাসি-তামাশা করে চলে যান এবং পুনরায় ফিরে আসেন। তখন ভাষাভিত্তিক বিভিন্ন আলোচনা চলছিল আপুদের মধ্যে। এরই ধারাবাহিকতায় যথেষ্ট সম্মান ও বিনয়ের সঙ্গে আমি জুলি আপুকে জিজ্ঞাসা করি, ‘আপু, আমি ভাত খাই’— এটাকে আপনাদের ভাষায় কীভাবে বলে?

রিজু অভিযোগে আরও লিখেছেন, এই কথায় তিনি রাগান্বিত হয়ে আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘তুই আমাকে জিজ্ঞাসা করিস! তোর সাহস তো কম না! তোকে র‌্যাগ দিতে হবে। তারপর নাসরিন জাহান খুশি আপু বলে উঠলেন, ‘শুধু ওকে না, এই ফ্লোরের প্রত্যেকটারে র‍্যাগ দিতে হবে।’ তখন নিপু আপু আমার আরেকজন সহপাঠীকেও র‍্যাগ দেওয়ার জন্য আমার রুমে নিয়ে আসেন।

বিজ্ঞাপন

রিজু জানান, এরপর তাদের দু’জনকে নানা কথাবার্তার পর ‘অশ্লীল’ গান ছেড়ে নাচাতে বাধ্য করেন সিনিয়র আপুরা। এ ছাড়াও রাত ১টা পর্যন্ত নানা প্রসঙ্গ টেনে তাদের মানসিক নির্যাতনও করা হয়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে অভিযুক্তদের কয়েকজনকে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কেউ কল রিসিভ করেননি।

এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে এক জন অভিযোগ করেছে। অভিযোগপত্রটি সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষ মহোদয় বরাবর পাঠিয়েছি। বিষয়টি এখন তিনি দেখছেন।’

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি কোনো অভিযোগপত্র পাইনি। তবে আমাকে প্রক্টর ফোন করে জানিয়েছেন। আজ (বুধবার) বিকেল ৫টার দিকে দুই পক্ষকে বসিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে দিয়েছি।’

প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘প্রথমত, কোনো শিক্ষার্থীর রুমে গিয়ে জোর করে নাচতে বাধ্য করা কোনোভাবেই উচিত নয়। তবে আয়েশাকে (অভিযোগকারী) আমি বিকেলে ডেকেছিলাম এ বিষয়ে কথা বলার জন্য। সে আসেনি। এমনকি ঘটনার পর তার ফ্লোরের হাউজ টিউটরকেও সে জানায়নি। এ ঘটনা এতদূর যেত না। ওরা সবাই তো এখনো ছোট। সব নিয়ম-কানুন হয়তো বুঝতে পারেনি।’

সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন