বিজ্ঞাপন

আপিল বিভাগের শুনানিতে বিচারক কামরুন্নাহার

November 22, 2021 | 3:18 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ দিয়ে আলোচনায় আসা বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আপিল বিভাগের তলবে হাজির হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি প্রবেশ করেন। এ সময় আইনজীবীসহ সব কর্মকর্তাদের এজলাস কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন আদালত।

এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে তার বিষয়ে রুদ্ধদ্বার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় শুনানি শেষ হয়।

সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানায়, স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ। সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এসেছিলেন তিনি। শুনানি শেষে তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সিজ করা হয়েছে- মর্মে আদেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

যে মামলায় জামিন নিয়ে কামরুন্নাহারকে তলব করা হয়েছিল, সেই ফৌজদারি আবেদনটি এদিন ‘রাষ্ট্র বনাম আসলাম সিকদার’ শিরোনামে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে ছিল।

গত বছরের ১২ মার্চ আপিল বিভাগ মোছা. কামরুন্নাহারকে ওই বছরের ২ এপ্রিল আদালতে তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়। তবে আপিল বিভাগের শুনানিতে কী হয়েছে বা আদেশ কী হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ১১ নভেম্বর দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক পুলিশের উদ্দেশে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নিতে ‘পরামর্শ’ দেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত এ মামলার রায় দেন।

এরপর রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা পরিপ্রেক্ষিতে কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করে তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে যুক্ত করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন