বিজ্ঞাপন

ডিজিটাল অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরিতে পরামর্শক ব্যয় ১১৭ কোটি টাকা

December 7, 2021 | 8:45 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ডিজিটাল অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরিতে পরামর্শকের পকেটেই যাবে ১১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ৩ হাজার ৮৬৩ দিনের জন্য পরামর্শকরা কাজ করবেন। ‘এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট এন্ড ডিজিটাল ইকোনমি (ইডিজিই)’ প্রকল্পে এই ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রথম পর্যায়ে এই খাতে আরও বেশি ব্যয় ধরা হয়েছিল। তবে সেটিকে অযৌক্তিক মনে হওয়ায় পরামর্শকসহ সার্বিক প্রকল্প ব্যয় যৌক্তিক করতে ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণ কমিটি গঠন করে পরিকল্পনা কমিশন। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) পুনর্গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলা এবং সব সিটি করপোরেশনে ডিজিটাল লিডারশিপ একডেমি স্থাপনের উদ্যোগ আছে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা থেকে ২ হাজার ৫০৭ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ডিজিটাল অর্থনীতির পরিবেশ তৈরি এবং বিকাশের জন্য নীতিমালা বাস্তবায়নের সহায়তা দেয়া। এছাড়া ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। পাশাপশি ডিজিটাল অর্থনীতি বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসাধন ও স্টেকহোল্ডার (সুবিধাভোগী) ব্যবস্থপনা করা হবে। সরকারের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি ডিজিটাল লিডারশিপ একডেমি স্থাপন। পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ডিজিটালাইজেশন, ডিজিটাল অর্থনীতি প্রসারের জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র প্রতিষ্টা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামে বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল অর্থনীতি সহায়ক পরিবেশ তৈরি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আইটি সেক্টরের আয় বৃদ্ধি হবে। সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রুপান্তরের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা সৃষ্টি, গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উদ্ভাবনের সমন্বয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল অর্থনীতির সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/জেজে/এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন