বিজ্ঞাপন

আন্দোলনে এবার ঢাবি শিক্ষক সমিতির সমর্থন

April 11, 2018 | 2:06 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এক সংবাদ বিবৃতিতে বুধবার (১১ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ একাত্মতার কথা জানানো হয়। বিবৃতির পর শিক্ষক সমিতির সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্য আন্দোলনস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইতুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবির প্রতি আমরা আমাদের সমর্থন পুর্নব্যক্ত করছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতি মনে করে এই কোটা সংস্কার এখন যুগের চাহিদা। সে অনুযায়ী কোটা সংস্কার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত দ্রুততম সময়ে ঘোষণা করার আহ্বান জানাই।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালীন কোনোরূপ পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায় শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয়েছে।

এর আগে সকালে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন যৌক্তিক বলে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এ দাবি যৌক্তিক। অবশ্যই কোটা সংস্কারের প্রয়োজন আছে। অতীতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও শিক্ষকরা সহমত পোষণ করেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে সহমত পোষণ করছি।’

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার নিয়ে যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে এর দ্রুত সমাধান দরকার। তাড়াতাড়ি এর সমাধান করা গেলে তা সকলের জন্যই মঙ্গল হবে। তাই সরকারের উচিত হবে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে যতো দ্রুত সম্ভব এর একটা সমাধান করা।’

গত রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন কয়েকশ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। কিন্তু পুলিশ তাদের সেখান থেকে উঠিয়ে দেয়। এরপর তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েন।

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘদিন ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলতে থাকা এ অন্দোলনে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। ওই দিন রাতভর শিক্ষার্থীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলন থামিয়ে দিতে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদুনে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। বহু ছাত্রী টিএসসির মধ্যে আটকা পড়েন। ভাঙচুর করা হয় ভিসির কার্যালয়।

বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় পরদিন আবারও আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে সচিবালয়ে যান। এসময় প্রশাসন কোটা সংস্কারের আশ্বাস দিলে আন্দোলন সাময়িক বন্ধ করেন শিক্ষার্থীরা এবং হলে ফিরে যান।

তবে সোমবার রাতে সংসদ অধিবেশনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মঙ্গলবার রাতে ঢাবির সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগের সভাপতি কোটা বিরোধী এক আন্দোলনকারীকে মারধর করলে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার সকাল থেকে আবারও আন্দোলনে নেমে পড়েন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রতাশীরা।

আজ বুধবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর পাশাপাশি আন্দোলনে সমর্থনে জানিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সারাবাংলা/জেএ/একে

অারও পড়ুন

হলে ফিরছি, তবে ছাত্রদের পাশে আছি’
এবার ছাত্রীদের ওপর চড়াও ছাত্রলীগ, ঢাবি ক্যাম্পাসে র‌্যাব
কার্জন হলেও দাঁড়াতে পারলেন না আন্দোলনকারীরা
আন্দোলন দমাতে পুলিশ-ছাত্রলীগ, ঢাবি ক্যাম্পাসে ভীতি-উত্তেজনা
পুলিশি হামলার প্রতিবাদে হল ছেড়ে রাস্তায় ঢাবি ছাত্রীরা
শাহবাগ থেকে আন্দোলনকারীরা ঢাবিতে, সংঘর্ষ চলছেই
কাঁদুনে গ্যাসে ছত্রভঙ্গ শাহবাগে আন্দোলনকারীরা
কোটা সংস্কার: মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা
কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন
ঢাবিতে ছাত্রী হলে মারধরের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেত্রী বহিষ্কার
হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ-খবর নিলেন ঢাবি ভিসি
বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকাল বন্ধ সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন