কারও পেছনে লাগা বা কাদা ছোড়াছুড়ি কাম্য নয়: অপু বিশ্বাস

আহমেদ জামান শিমুল

মহাসমারোহে চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে এ ভোট। শিল্পী সমিতির স্টাডি রুমে এই ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে এফডিসিতে একত্র হয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা। বহুদিন পরে দেখা অনেকেরই। কুশল বিনিময় করছেন একে অন্যের সঙ্গে। মেতে উঠেছেন আড্ডায়। এর মধ্যেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতা, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপচারিতাও চলছে।

সারাবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। জানান নির্বাচন ঘিরে আনন্দ অনুভূতি। অপু বিশ্বাস বলেন, ‘একটি সিনেমাতে আমরা একসঙ্গে একত্রিত হতে পারি না। কিন্তু এখানে যারা আছেন সবাই সবার প্রাণের মানুষ। এই প্রাণের মানুষেরা নির্বাচনের জন্য একত্রিত হতে পেরেছি, এটা অনেক ভালো লাগছে৷ অনেকের সঙ্গে অনেকদিন পর দেখা হয়েছে। এখানে যারা যারা আছেন আমরা সবাই মিলেই একটি পরিবার। আমাদের নেতৃত্বের জন্য একজন নেতার দরকার। আমি কোনো প্যানেল বলবো না, নির্বাচিত হয়ে যেই আসুক না কেন কারও পেছনে লাগা বা কাদা ছোঁড়াছুড়ি করা এটা আমার কাম্য নয়। একজন অপু বিশ্বাস হিসাবে যেই আসুক তার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। ৪২৮ জন ভোটার ২১টি পদে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করবেন। পদগুলোতে লড়াই করছেন ৪৫ জন। বিএফডিসিতে অবস্থিত শিল্পী সমিতির স্টাডি রুমে ভোট গ্রহণ হয়ে চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ও নিপুন। দুটি সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন মাসুম পারভেজ রুবেল, ডিএ তায়েব, ডিপজল ও রিয়াজ।

চলচ্চিত্র শিল্পীদের পেশাগত স্বার্থ রক্ষার্থে গঠিত এই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বা সংগঠন। ১৯৮৪ সালে গঠিত হয় সংগঠনটি। তবে শিল্পীদের এই সংগঠনের ইতিহাস আরো সুপ্রাচীন। ভারত উপমহাদেশে এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারত চলচ্চিত্র সমিতির মাধ্যমে। ১৯৩৮ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় চিত্র ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতি। এরপর ১৯৩৯ সালে কলকাতায় নিখিল বঙ্গ চলচ্চিত্র সংঘ নামে আরএকটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ বিভাগের পর পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৫২ সালে পূর্ববঙ্গ চলচ্চিত্র সমিতি নামে আরেকটি সংগঠন গঠিত হয়।

সারাবাংলা/এজেডএস/এসবিডিই