বিজ্ঞাপন

দুর্যোগ ঝুঁকি যাচাই করা যাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে

February 3, 2022 | 9:13 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: উন্নয়ন প্রকল্প টেকসই করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য প্রকল্প তৈরিতে দুর্যোগের ঝুঁকি যাচাইয়ের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে পরিকল্পনা কমিশন। মূলত এটি একটি ওয়েবসাইট। এখানে দেশের ৬৪ জেলায় বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধ্বস ও লবনাক্ততাসহ ১১টি দুর্যোগের হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে। প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরির আগে সংশ্লিষ্টরা এখান থেকে তথ্য নিয়ে তা কাজে লাগাতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) এই প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম।

পরিকল্পনা বিভঅগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন- ইউএনডিপির আবাসিক প্রতনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী এবং সুইডেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্রিস্টিন জোহানসন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ খান। বক্তব্য দেন ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রামের (এনআরসি) প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুন নাহার।

মূল প্রবন্ধে মালিক ফিদা এ খান  জানান, প্রত্যেক দুর্যোগ ঝুঁকির জন্য আপদ ও বিপদাপন্নতার বিভিন্ন ইনডিকেটর’র সমন্বয়ে জেলাভিত্তিক রিস্ক ইনডেক্স তৈরি করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটি মূলত কার্যক্রম বিভাগের তৈরি ডিজাস্টার ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট (ডিপিপি) টুলস দিয়ে দুর্যোগ ঝুঁকি তথ্য বিবেচনায় নিয়ে প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে এবং প্রকল্প টেকসই হবে।

বিজ্ঞাপন

ড.নূরুর নাহার বলেন, প্ল্যাটফর্মটির ঝুঁকিজনিত তথ্য ইতোমধ্যেই এডিবির সহায়তায় কার্যক্রম বিভাগ জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি এটলাস এর মানচিত্র ও ডাটা ব্যবহার করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মে জেলাভিত্তিক তথ্য দেওয়া হলেও তা উপজেলা ভিত্তিক রূপান্তর করা যাবে। এছাড়া আপদ ও বিভিন্ন বিপদাপন্নতার হালনাগাদ তথ্য সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে আরাও সমৃদ্ধশালী করা যাবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দুর্যোগের গতিবিধির সঙ্গে উন্নয়নকে খাপ খাওয়াতে হবে। তাহলেই উন্নয়ন কার্যক্রম টেকসই করা সম্ভব। ডিপিপি তৈরির সময় এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে দুর্যোগের সম্ভব্য অবস্থা সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার। এজন্য সবগুলো মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। দুর্যোগ আসবে প্রাকৃতিক কারণেই আসবে। কিন্তু সেটি ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। কিন্তু আমরা জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারি। এজন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/এনএস 

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন