বিজ্ঞাপন

‘বোধের অভাবেই দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে’

February 19, 2022 | 11:10 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘শুধু বড় অপরাধেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় না, পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাত্যহিক জীবনযাপনের নানা ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু দেশের মানুষের মানবাধিকার বোধ পরিস্কার নয়। কখন আর কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তাইই জানে না অনেকে। এভাবে মানবাধিকার সম্পর্কে বোধের অভাবেই এদেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।’

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এমএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। এসময় তিনি মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, কর্মপদ্ধতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি দেশে মানবাধিকার সংস্কৃতি বিকাশে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে মুক্ত আলোচনা করেন।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘অপরাধের শিকার হলে যেমন দায় নিজের উপর বর্তায় তেমনি অপরাধ করলে দায় নেওয়াটাই মানবাধিকার সংস্কৃতি। এই দায় নেওয়ার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মানসিকতায় আমরা পিছিয়ে আছি।’

মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি পর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ মানবাধিকার উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, ‘কারও হত্যা, গ্রেফতার, প্রহার বা ধর্ষণ হলেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বিষয়টা তা না। প্রতিদিনকার আচরণের বিষয়। পরিবার, সমাজ, প্রতিবেশির সঙ্গে আচরণ, রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক অর্থাৎ সেখানে আমার মর্যাদা-অধিকার ইত্যাদি কীভাবে দেখা হয়, লেনদেনের ধরণ ইত্যাদিও মানবাধিকার রক্ষার বিষয়। এসব বিষয়কে মানুষের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা।’

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করা এমএসএফ শুধুমাত্র বক্তব্য-বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের সবকটি জেলায় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের একটি সমন্বিত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে তারা দশ থেকে বারোটি জেলায় নিজস্ব হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্রতিমাসে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির রিপোর্ট প্রকাশ করছে। ক্রমান্বয়ে এটি সব জেলার পাশাপাশি সব উপজেলা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা। হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করার পাশাপাশি ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারেন তারা।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘দেশে মানবাধিকার বোধ অর্থাৎ সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্যেই মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মানুষকে নিজের স্বাধীনতা, অধিকার ও আত্মমর্যাদা বোধ সম্পর্কে সচেতন করাই আমাদের লক্ষ্য। মানুষ যেন বোঝে যেন বুঝতে পারে যে মানবাধিকার তাদের প্রতিদিনের চিন্তা, ভোগ ও সুরক্ষার বিষয়। এবং এটি লঙ্ঘিত হলে অভিযোগ করা ও সুরক্ষা চাওয়ার অধিকারও তাদের রয়েছে। আবার রাষ্ট্রের দায় সুশাসনের মাধ্যমে মানুষের মানবাধিকার রক্ষা করা।’

মানবাধিকারের তিনটি বিষয় স্বাধীনতা, শান্তি ও ন্যায়বিচার। একটি রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে এটি নিশ্চত করতে পারলেই সাধারণ মানুষ একটি উন্নত জীবন পাবে বলে মনে করে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন আর তারা সেই লক্ষেই কাজ করছে বলে জানানো হয় মতবিনিময় সভায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএফ/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন