বাংলাদেশ-ইইউ ‘আইটি কানেক্ট প্ল্যাটফর্ম’ তৈরির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আইটি ব্যবসায়ীদের তথ্য আদান-প্রদানে ম্যাচমেকিংয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ইইউ আইটি কানেক্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এ আগ্রহের কথা জানান।

এছাড়াও বৈঠকে ইইউয়ের ‘হরাইজন’ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের ট্যালেন্টেড স্টুডেন্টদের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিষয়ে স্কলারশিপ প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ইইউয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার চারটি স্তম্ভ নির্ধারণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৩ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে দেশের আইসিটি খাত একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে।

তিনি বলেন, অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং খাত থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় প্রযুক্তিনির্ভর জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অগমেন্টেট রিয়েলিটি (এআর), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও রোবটিক্সসহ নতুন নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলেও জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক।

২০২৫ সালের মধ্যে আইটি বা আইটিইএস খাত থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা এবং শতভাগ ইন্টারনেট ও সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন তিনি। ইইউ রাষ্ট্রদূতের কাছে আইসিটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইইউ-বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে সহায়তা কামনা করেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে প্রসংশা করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।

আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরও এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ইইউ পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউয়ের কাউন্সিলর মারিজিও সিয়ানসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর