বিজ্ঞাপন

নরসিংদীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৪ জনের দণ্ড কমে যাবজ্জীবন, ২ জন খালাস

April 26, 2022 | 6:08 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এক নারী শ্রমিককে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় জনের মধ্যে দুই ব্যক্তিকে খালাস এবং চার জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরা হলেন: আশিকুর রহমান (৩৫), ইলিয়াছ মিয়া (২১), মো. রুমিন (২০) ও মো. রবিন (২০)। মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া দুই আসামি হলেন: মো. ইব্রাহিম (২২) এবং আবদুর রহমান (২৪)।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারনুর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট নরসিংদীর পলাশে এক নারী শ্রমিককে (২০) ধর্ষণের দায়ে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মদ এ রায় দেন।

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পলাশ উপজেলার বাগপাড়া এলাকার আশিকুর রহমান (৩৫), ইলিয়াছ মিয়া (২১), মো. রুমিন (২০), মো. রবিন (২০), মো. ইব্রাহিম (২২) ও আবদুর রহমান (২৪)। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম ও আবদুর রহমানকে আলাদাভাবে একই মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা এবং সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৩ মে দুপুরে পলাশ উপজেলার বাগপাড়া এলাকার ওই নারী শ্রমিক কাজ শেষে একই এলাকায় কারখানার মেসে ফিরছিলেন। জনতা পাটকলের ফটকের সামনে পৌঁছালে আসামিরা তাকে জোর করে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে আশিকুর, ইলিয়াছ, রুমিন, রবিনসহ ছয়জন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে পলাশ থানায় ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মদ ধর্ষণের দায়ে ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড দেন। বিচারিক আদালতের সে দণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হয়ে হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। তার প্রেক্ষিতে আজকের রায় ঘোষণা করল আদালত।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন