বিজ্ঞাপন

পারলেন না সাক্কু, কুমিল্লার নতুন মেয়র রিফাত

June 15, 2022 | 9:33 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) টানা দুই মেয়াদের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।

বিজ্ঞাপন

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল বলছে, ১০৫টি কেন্দ্রে রিফাত নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। আর তৃতীয় স্থানে থাকা নিজাম উদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।

বুধবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ফলাফল পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এই ফল ঘোষণা করেন কুসিক নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী।

ভোটের চূড়ান্ত এই ফলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আরফানুল হক রিফাত বলেন, এই জয় জনগণের জয়। কুমিল্লায় সাধারণ জনগণের জয় হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বলেন, গুটিকয়েক কেন্দ্রের ফল আটকে রাখা হয় পরিকল্পিতভাবে। আমি হারিনি। কিন্তু আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে। ১০৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দিয়ে ভোট নেওয়া হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিক থেকে ফলঘোষণা শুরু হয়।

ফলঘোষণার শুরু থেকেই মনিরুল হক সাক্কু ও আরফানুল হক রিফাতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। নতুন নতুন কেন্দ্রের ফল যোগ হতেই কখনো এগিয়ে যাচ্ছিলেন রিফাত, কখনো এগিয়ে যাচ্ছিলেন সাক্কু। সবশেষ ১০১ কেন্দ্রের ফলে সাক্কুই এগিয়ে ছিলেন ৬২৯ ভোটে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সবশেষ ঘোষিত ফল বলছে, শেষ চারটি কেন্দ্রে সাক্কুর তুলনায় ৯৭২ ভোট বেশি পেয়েছেন রিফাত।

বিজ্ঞাপন

এদিন ভোটগ্রহণ শেষে কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। পরে সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালও একই তথ্য জানান সাংবাদিকদের।

কুমিল্লা সিটির এবারের নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয়ের পরিকল্পনায় প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। এই সিটির আগের দুই নির্বাচনেই তিনি মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছিলেন— একবার স্বতন্ত্র এবং একবার বিএনপি প্রার্থী হিসেবে। এবারে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিলেও সাক্কু প্রার্থিতা বহাল রেখেছিলেন। সে কারণে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি নিজে অবশ্য দাবি করেন, দল থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।

সাক্কু বারবারই বলে আসছেন, সিটি করপোরেশন হওয়ার আগেও কুমিল্লা পৌরসভায় তিনি মেয়র ছিলেন। এরপর টানা দুই মেয়াদে কুমিল্লা সিটির মেয়র হয়েছেন তিনি। তাকেই ফের কুমিল্লাবাসী মেয়র হিসেবে বেছে নেবেন বলে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি।

এদিকে, আরফানুল হক রিফাতের এটিই প্রথম কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলের আরও ১৩ জন আগ্রহী মনোনয়প্রার্থীর সঙ্গে তিনিও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। দল থেকে শেষ পর্যন্ত তাকেই কুমিল্লায় নৌকা প্রতীকের টিকিট দেওয়া হয়। সে হিসাবে প্রথম নির্বাচনেই বাজিমাত করলেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন