বিজ্ঞাপন

‘না’ ভোটের বিধান চায় সিপিবি

July 28, 2022 | 8:00 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সংখ্যানুপতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন, ‘না’ ভোট ও জনপ্রতিনিধি প্রত্যাহারের বিধান চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এ ছাড়া নির্বাচনকে টাকা-পেশি শক্তি, প্রশাসনিক কারসাজি ও সাম্প্রদায়িক প্রচার প্রচারণামুক্ত করাসহ নির্বাচন ব্যবস্থা আমূল সংস্কারের দাবি জানিয়েছে দলটি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মৈত্রী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ আলম ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। এ সময় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে নির্বাচনকালীন সরকারের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছাড়া এখনকার বাস্তবতায় দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্ভাবনা নেই। এ জন্য নির্বাচনকালীন সরকার যেন কোনো প্রকারে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সাংবিধানিক রক্ষা কবজ থাকাও অপরিহার্য।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে একটি স্বাধীন, দক্ষ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং নির্বাচন-ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো জরুরি কর্তব্য।

নির্বাচন কমিশনের সংলাপ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সবার আগে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট বিধিবিধান যুক্ত করতে হবে। কমিশনকে নির্বাচনী বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা ও নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচন বাতিলসহ আইন লঙ্ঘনকারীদের আটক ও কারাদণ্ড প্রদানের ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচনকালীন তদারকি সরকারের ও ওই সরকারের কাজের বিষয় সংবিধানে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহের গণতান্ত্রিক বিধি-বিধানের ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়া, দলের কর্মকর্তাদের নিয়মিত নির্বাচন, দলের আর্থিক বিবরণ নির্বাচন কমিশনকে প্রদান ইত্যাদি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ সব বিষয়ে যাচাইয়ের ব্যবস্থা ও কোনোরূপ লঙ্ঘনের ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে নারী আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানানো হয়। প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন-প্রার্থী হতে হলে, তাকে কমপক্ষে ৩ বছর দলের সদস্যপদ নিয়ে এবং জনগণকে অবহিত রেখে দলের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হবে। স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধীতাকারী বা যুদ্ধাপরাধী হলে, নিজে অথবা পরিবারের কেউ ঋণখেলাপী কিংবা ঋণখেলাপীর জামিনদার হলে, কালো টাকার মালিক বলে বিবেচিত হলে, সরকারি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ অথবা চাকুরিচ্যুতির বছর ৩ বছর অতিক্রম না করলে, কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রেও এই বিধি প্রযোজ্য হবে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন