বিজ্ঞাপন

সাকা’র ক্যাডারসহ গ্রেফতার ৩, একে-২২ উদ্ধার

August 17, 2022 | 6:57 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা থেকে আমেরিকায় তৈরি দু’টি একে-২২ ও বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দু’জন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ক্যাডার হিসেবে এক সময় পরিচিত ছিল। বর্তমানে তারা সাকা’র ভাই বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্যাডার হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ আগস্ট) ভোর রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পলোয়ান পাড়া এলাকায় একটি বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে রাউজান থানা পুলিশ। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক এদিন সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গ্রেফতার তিন জন হলো- নুরুল আবছার (৪৩), কামরুল হাসান টিটু (৫৫) এবং গিয়াসউদ্দিন বাবলু ওরফে সাদ্দাম (৩০)। এদের মধ্যে নুরুল আবছার ও কামরুলের বাড়ি রাউজান উপজেলায়, সাদ্দামের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, অভিযান টের পেয়ে আরও ৭-৮ জন সন্ত্রাসী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার তিন জনের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি দু’টি একে-২২ রাইফেল ও ৯৫ রাউন্ড বুলেট, ইতালিতে তৈরি একটি ৭ দশমিক ৬৫ সেমি অটোমেটিক পিস্তল ও ৮ রাউন্ড বুলেট, একটি দেশীয় রাইফেল ও এক নলা বন্দুক এবং ১০ রাউন্ড অজ্ঞাত অস্ত্রের বুলেট ও ১০ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী গঠিত রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) মাধ্যমে রাউজানে কামরুলের উত্থান হয়েছিল। এনডিপি ক্যাডার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ফজল হকের সহযোগী হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। পরবর্তী সময়ে সাকা চৌধুরী এনডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিলে ফজল হকের সঙ্গে কামরুল এবং নুরুল আবছারও ওই দলে ভিড়ে যায়।

এনডিপির ক্যাডার হিসেবে কামরুল ১৯৯৬ সালে নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্প লুট ও পুলিশ হত্যা, চাঞ্চল্যকর শ্রীকান্ত রক্ষিত হত্যা এবং নোয়াপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হত্যাসহ আটটি খুনের ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৭টি মামলা আছে।

২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তার ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। রাউজান থেকে একাধিকবার বিএনপির মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনও করেন। কামরুল ও নুরুল আবছার পরবর্তী সময়ে গিয়াসউদ্দিন কাদেরের ক্যাডার হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিতি পায়। গ্রেফতার গিয়াসউদ্দিন বাবলু ওরফে সাদ্দাম টাকার বিনিময়ে ডাকাতি-খুন, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে অংশ নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, গ্রেফতার সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা তারা খতিয়ে দেখবেন। তবে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রগুলো তারা ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করার জন্য রেখেছিল বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন