বিজ্ঞাপন

‘গণফাঁসি–৭৭’ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন

September 5, 2022 | 12:49 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় গুম-খুনের ষড়যন্ত্রের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গের উদ্যোগে রাজনীতির কালো অধ্যায় ‘গণফাঁসি–৭৭’ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও ‘মায়ের কান্না’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে প্রামাণ্য চিত্রটির প্রদর্শনী হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, খুনি জিয়ার শাসন আমলে যাদের বিচারের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল তাদের বিচার শেষ না করে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল। ৪৫ বছর ধরে ভুক্তভোগীদের এই বোবা কান্নার বিচার বিএনপির কাছে চাই। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার বিএনপির কাছে চাই।

মন্ত্রী বলেন, খুনের মধ্যে দিয়ে বিএনপির সৃষ্টি, সেনাবাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখে যে নির্যাতন অত্যাচার করেছে তাদের মুখোশ বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৭ সালে যাদের খুনি জিয়া নৃশংসভাবে প্রহসনের বিচারের নামে হত্যা করেছিলেন তারা সবাই সামরিক বাহিনীর সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। অবাক করা বিষয় ছিল যে, তিনি এসব সদস্যদের ফাঁসির রায় সকালে নাস্তার টেবিলে সাইন করতেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের শক্তি এই ঘটনার পুনঃতদন্তের মাধ্যমে পিতাহারা সন্তানেরা বুকে চাপা ব্যথা নিয়ে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি জনাব শামসুদ্দিন মানিক বলেন, খুনি জিয়া ন্যূনতম বিচার তোয়াক্কা না করে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। বিচারিক নিয়ম হচ্ছে একজন আসামিকে ফাঁসির আগে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা কিন্তু খুনি জিয়া তার কিছুই করেনি।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদুল হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দীপ্ত টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও পরিচালক ফুয়াদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, মায়ের কান্নার প্রধান সমন্বয়ক মো. কামরুজ্জামান মিয়া লেলিন, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক প্রমুখ।

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন