বিজ্ঞাপন

‘ফখরুলরাই ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান চলে যাবে’

October 13, 2022 | 7:26 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস, মুক্তিযোদ্ধাদের মাস। এই ডিসেম্বরই পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী বাঙালির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। আর এই মাসেই মির্জা ফখরুল আর বিএনপি আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানে চলে যাবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে যাত্রাবাড়ী থানার ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬২, ৬৩ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘মির্জা ফখরুলরা বলছেন, জিয়া-খালেদা জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তারা আন্দোলন করছে। জিয়ার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানো, তালেবান রাষ্ট্র বানানো এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজ, গোলাম আজম, মুজাহিদদের হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়া। তাইতো জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে, তাদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে ৩০ লাখ শহিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। পাকিস্তানকে খুশি করার জন্য জিয়া সেনাবাহিনীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অফিসার জওয়ানদের হত্যা করে। পাশাপাশি বিমানবাহিনীর ৫৫১ জন অফিসার-জওয়ানদেরও হত্যা করে। এছাড়া আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাড়ে ৪ লাখ নেতাকর্মীকে গুম করে ও হত্যা করে। এবং রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেন।’ জিয়া মানুষের ভোটের অধিকার বুটের তলায় পিষ্ট করে এবং দেশটাকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে খুন-জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-দূর্ণীতি এবং অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করে। খালেদা জিয়ার ছেলে দুর্নীতির বরপুত্র তারেক জিয়া কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে। সেই ভোট চোর, ভোট ডাকাত, খুনি-দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হরণকারী, তালেবান-জঙ্গিবাদ-পাকিস্তানের প্রতিনিধি জিয়া-খালেদা জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান মির্জা ফখরুলরা। এই কারণেই মির্জা ফখরুল বলেন পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিলেন।’

এসএম কামাল বলেন, ‘এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা সততা-সাহসিকতা-দেশপ্রেম বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এবং সমৃদ্ধির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’

সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন যাত্রীবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন