বিজ্ঞাপন

টিএসপি সার উৎপাদনে যাচ্ছে গ্রাম বাংলা এনপিকে ফার্টিলাইজার

December 15, 2022 | 8:39 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বেসরকারি খাতে টিএসপি সার উৎপাদন করতে যাচ্ছে গ্রাম বাংলা এনপিকে ফার্টিলাইজার অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেড। রাজধানীর অদূরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার চরচাষি এলাকায় এ প্রকল্পের কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্পন্ন করে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পটির টিএসপি সার উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় জাতীয় গ্রিড থেকে কোনো ধরনের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হবে না। প্রকল্পের উৎপাদিত বাইপ্রডাক্ট বিদ্যুতের মাধ্যমেই এর উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রাম বাংলা এনপিকে ফার্টিলাইজার জানিয়েছে, প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে এসইউএমইসি কমপ্লিট ইকুপমেন্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লিমিটেড চায়না কর্তৃক বাস্তবায়ন, ডিজাইন এবং ড্রয়িং তৈরি করা হয়। তাই ইউরোপ ও চায়না থেকে মূল মেশিনারিজ আমদানি করা হয়েছে। চীনের বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। প্রকল্পটির টিএসপি সার উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে জাতীয় গ্রিড থেকে কোনো প্রকার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হবে না। প্রকল্পের উৎপাদিত বাই প্রডাক্ট বিদ্যুৎ দ্বারা উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রকল্পটির উৎপাদিত পণ্য বিপনন, সংরক্ষণ এবং পরিবহনের জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত প্রধান পণ্য টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সার ও এনপিকেএস (মিশ্র সার)। এর উপজাত পণ্য (বাইপ্রডাক্ট) হিসাবে ফসফরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড, জিপসাম ও বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হিসাবে রক সালফার ও রক ফসফেট ব্যবহৃত হবে, যা বিদেশ থেকে আমদানিযোগ্য। এর বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা টিএসপি ১ লাখ মেট্রিক টন ও এনপিকেএস সার ৫০ হাজার মেট্রিক টন। উপজাত পণ্য ৩ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ফসফরিক এসিড ১ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, জিপসাম ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ও ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হায়দার জাহান সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০২৩ সালের মার্চে আমাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। সেই লক্ষ্যে সব কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। গ্রাম বাংলা টিএসপি সার উৎপাদন শুরু হলে দেশের কৃষকদের টিএসপি সারের চাহিদা সঠিক সময়ে মেটানোসহ আমদানি ব্যয় কমে যাবে। এ শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে উপজাত হিসেবে পাওয়া সালফিউরিক এসিড দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগই মেটাতে সক্ষম হবে। সবমিলিয়ে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে ও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন