বিজ্ঞাপন

‘এদের কোনো মতেই আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না’

May 4, 2023 | 4:06 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বর্তমান সরকার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদের কোনো মতেই আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৪ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সাবেক মন্ত্রী সুনীল কুমান গুপ্তের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ভাসানী অনুসারী পরিষদ এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

স্মরণ সভাটি জাতীয় প্রেস ক্লাবে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা ক্লাব কর্তৃপক্ষ বাতিল করায় নিন্দা জানান আলোচনা সভার সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল।

‘কোনো মতেই স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না’- গতকাল ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, কোনো মতেই স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। আমিও একই কথা বলি- কোনো মতেই স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না।’

বিজ্ঞাপন

‘দুঃখজনকভাবে, অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে আওয়ামী লীগ আজ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কারণ, স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যে লক্ষ্য ছিল, যে আশা ছিল, যে আকাঙ্ক্ষা ছিল- একটা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, একটা বহুদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা- সেটাকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা সেই পুরনো কায়দায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এই কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, এই সরকার আজ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যে সরকার মানুষের চোখের ভাষা বুঝতে পারে না, যে সরকার দেয়ালের লিখন দেখতে পারে না, যে সরকার মানুষের প্রয়োজন বুঝতে পারে না, তাকে আমরা গণশত্রু ছাড়া আর কী বলতে পারি।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কত বড় দাম্ভিকতা আপনাদের। পরিষ্কার করে সব মানুষ যখন বলছে যে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করুন। তখন আপনারা বলছেন, এটা বাতিল হবে না। কেন হবে না? আপনাদের ক্ষমতায় রাখার জন্য ওটা (ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) একটা হাতিয়ার হিসেবে আপনারা ব্যবহার করছেন, অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সুতরাং সেই অস্ত্রকে আপনারা বাদ দিতে চান না।’

বিজ্ঞাপন

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেই কিন্তু দেশ স্বাধীন করেছে। এদেশের মানুষ নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। মানুষ আজ সংগ্রাম শুরু করেছে, লড়াই শুরু করেছে। এই লড়াইয়ে অবশ্যই গণতন্ত্রের বিজয় হবে। এই লড়াইয়ে অবশ্যই যারা সংগ্রাম করছেন তাদের বিজয় হবে এবং এই ভয়াবহ দানবীয় ফ্যাসিবাদ পরাজিত হবে।’

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, বরিশাল বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান খান মুকুল, প্রয়াত নেতার কনিষ্ঠ পুত্র সঞ্চয় কুমার গুপ্ত প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন