বিজ্ঞাপন

তারেক-জোবায়দার মামলার শুনানিতে হট্টগোল, এজলাস ছাড়েন বিচারক

May 30, 2023 | 8:12 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্য নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিদলীয় আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো আছাদুজ্জামানের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রেখে এজলাস ছাড়তে বাধ্য হন। বিকেল সাড়ে ৫টার পর পর্যন্ত দুইপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল চলে।

এর আগে, গত ২৮ মে থেকে প্রতিদিন সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল। ওইসময় বিএনপিপন্থি আইনীজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারী ওমর ফারুক ফারুকী মামলাটির সাক্ষ্য চলাকালে বিচারককে বলেন, ‘মামলাটি প্রতিদিন সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়টি দৃষ্টিকটূ। আমরা চাই এভাবে যেন প্রতিদিন সাক্ষ্য গ্রহণ না করা হয়। তখন বিচারক বলেছিলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।’

এরপরও আজ মঙ্গলবার আবার মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য থাকায় এ আইনজীবী বিএনপি দলীয় কিছু আইনজীবীর উপস্থিতিতে বিষয়টি আবার আদালতে মেনশন করলে রাষ্ট্রপক্ষের একজন প্রসিকিউটর বিচারককে মেনশনকৃত আইনজীবী ফারুকীর বক্তব্য ভিডিও করছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ওই সময় বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা ভিডিও করা নিয়ে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। যা এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। তখন বিচারক এজলাস ছেড়ে যান। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় আইনজীবীরাও ওই আদালতে আসেন। তখন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা আদালত কক্ষে অবস্থানের পর তারা চলে আসেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক পুনরায় এজলাসে ওঠে ২৫ মিনিট অবস্থান করে সাক্ষীর অবশিষ্ট জবানবন্দি শেষ করেন।

এ নিয়ে দুই পক্ষ একে অপরকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য দিয়েছেন। এ সম্পর্কে দুদক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলার আসামি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পলাতক। তাই এ মামলায় আসামিপক্ষের কোনো বক্তব্য থাকতে পারে না। তারপরও তারা প্রতিদিন আদালতে উপস্থিত থেকে বাধা সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবার তারা আদালতের সঙ্গে অনেক অশোভন আচরণ করেছে।

এ বিষয়ে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘আসামি পলাতক থাকলেও আমরা কি আদালতে উপস্থিতও থাকতে পারব না। তারা আদালত কক্ষে বেআইনিভাবে ছবি তুলতে, ভিডিও করতে পারেন? আমরা এর প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেছেন। তারাই আদালতের পরিবেশ নষ্ট করেছেন। ’

বিজ্ঞাপন

এদিকে আদালত মামলাটির আরও একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এ সাক্ষী হলেন আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের চাটার্ড এক্যানউন্টেড এম এ মতিন। এ নিয়ে মামলাটির ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।

সারাবাংলা/এআই/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন