বিজ্ঞাপন

ডিভোর্স ছড়াচ্ছে মহামারীর মতো

August 29, 2023 | 5:29 pm

বিপ্লব ইসলাম

নারী-পুরুষের আজীবন এক ছাদের নিচে একসঙ্গে পথ চলার বাস্তব ইচ্ছেটাই ‘বিবাহ’। আবার পক্ষান্তরে একসঙ্গে না থাকার যে কারন কিংবা ইচ্ছে সেটার চূড়ান্ত রূপ সেটা হলো ‘ডিভোর্স’ অর্থাৎ বিবাহ বিচ্ছেদ। ডিভোর্স বা তালাক মুলত এই শব্দটির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে এক অদ্ভুত ধরনের খারাপ লাগা। কিন্তু বর্তমান সময়ে এর প্রকোপ অনেকটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে গানিতিক হাড়ে।

বিজ্ঞাপন

আজকাল ডিভোর্স বা তালাক যেন এক সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ডিভোর্সের বা তালাকের প্রবণতা সারাদেশেই ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে মহামারীর মতো।

ডিভোর্সের বা তালাকের সংখ্যা বাড়ার উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ_

মূলতই হচ্ছে নির্যাতন! হয়তো মানসিক নয়তোবা শারীরিক

বিজ্ঞাপন

সেক্ষেত্রে কমবেশি দুজনেই ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন।সাধারণত যদিওবা ছেলেরা মেয়েদের দ্বারা শারীরিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেনা কিন্তু আজকাল মেয়েদের দ্বারা অনেক পুরুষই মানসিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। পক্ষান্তরে মেয়েরা আবার ছেলেদের দ্বারা বরাবরই মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অনেক সময় এইগুলোকে কেন্দ্র করেই তাদের সিদ্ধান্ত পৌঁছায় ডিভোর্স কিংবা তালাকের পথে।

পরকীয়ার প্রবনতা

চলমান সময়ে ডিভোর্স বা তালাকের অন্যতম একটি কারন হলো পরকীয়া। আর এই সমস্যাটা নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই ফুটে উঠে। বিয়ের আগের থাকা সম্পর্ক, নিজেদের মধ্যে যথেষ্ট বনিবনা না হওয়া, পছন্দ-অপছন্দের সামঞ্জস্য থাকাসহ এই ধরনের আরো অনেক কারণে নারী-পুরুষরা অসামাজিক সম্পর্ক অথাৎ পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। অবশেষে এটাও হয়ে যায় ডিভোর্স বা বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।

বিজ্ঞাপন

আত্ননির্ভরশীলতার পূর্নতা

প্রচলিত বর্তমান সময়ে কোনো মেয়েকে কোনো পুরুষের উপর নির্ভর করে সামনে চলতে হয় না। বর্তমান সময়ের নারীরা এখন বেশ আত্ননির্ভর। হটাৎ কোনো কারণে স্বামীর সাথে মতের অমিল হলে খুব সহজেই পৌঁছে যায় ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্তে ।

দারিদ্র্যতা

বর্তমান সময়ে মাথা উঁচিয়ে চলতে হলে অর্থের গুরুত্ব অপরিসীম। ‘কথায় আছে, অভাব যখন সামনে এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।’ অথচ অযৌক্তিক নয় কথাটি। বর্তমানে অনেক ডিভোর্স বা তালাকই হচ্ছে স্বামীর অস্বচ্ছলতার কারণে। যার ফলে সংসারে অভাব-অনটন থাকে এটা মুলত এক সময় অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিজ্ঞাপন

যৌতুক প্রথা

যৌতুক বর্তমানে আমাদের দেশের আরেকটি সামাজিক ব্যাধি হিসেবে রুপ নিয়েছে । আর এই প্রবণতা শিক্ষিত, অশিক্ষিত, গ্রাম কিংবা শহর নয়, পুরো দেশেই এমনটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে অহরহ। যৌতুক আদায় করতে স্বামীকেই মাধ্যম হিসেবে নেওয়া হচ্ছে ফলে স্বামী, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি এমনকি স্বামীর পরিবার হতেও হতে হয় লাঞ্চিত, নির্যাতিত এবং ধৈর্য হারিয়ে ডির্ভোর্সের পথটা বেছে নেন নারীরা।

তথ্য প্রযুক্তির অন্যতম প্লাটফর্ম সোশ্যাল মিডিয়া

আজকাল আমরা কমবেশি সকলেই এই বিষয়টার সাথে জড়িত। আসক্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই এই সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি মনোযোগ হারাচ্ছে অনেকে পরিবারের দিক থেকেও। কেউবা ডুবে হারিয়ে যাচ্ছে রঙিন দুনিয়ায়, ভুলে যাচ্ছেন করনীয় এবং বাস্তবতা। কেউ দিচ্ছে না কাউকে যথাযথ সময়। আর এধরনের নানান কারণে দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ডিভোর্স বা তালাকের সংখ্যা।

লেখক: গণমাধ্যম কর্মী

প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন