বিজ্ঞাপন

৪ সপ্তাহ মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না ২ আইনজীবী

January 11, 2024 | 10:47 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া এক চিঠিতে আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় আইনজীবী মোহাম্মদ মোহসীন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদলকে চার সপ্তাহের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আর সে পর্যন্ত তারা উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে দুই আইনজীবীর পক্ষে সময় আবেদন করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।

এরপর আদালত আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যে তাদের লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় দিয়ে সে পর্যন্ত এই দুই আইনজীবী উচ্চ আদালতে (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

এ সময় আদালত বলেছেন, দুই আইনজীবীর ব্যাখ্যা যদি সন্তোষজনক না হয়, তাহলে আরও বড় সাজা হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

আদালতে আইনজীবী মোহসীন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, সুব্রত চৌধুরী, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এর আগে, প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া এক চিঠিতে আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে আইনজীবী মোহাম্মদ মোহসীন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদলকে আজকের তারিখে তলব করেন আপিল বিভাগ। গত ৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থীসহ সরকার বিরোধী আইনজীবীরা। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত ১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন বিএনপিপন্থী এবং সরকার বিরোধীপন্থী আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মোহসীন রশিদ ও সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদল।

বিজ্ঞাপন

চিঠির বক্তব্য আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নজরে এলে বুধবার স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের তলব করা হয়।

আপিল বিভাগ আদেশে বলেন, এই চিঠির বক্তব্য বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।

চিঠিতে বলা হয়, দেশে একটি অনির্বাচিত, জবাবদিহিহীন এবং অস্বচ্ছ ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। ফলে জনগণ প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। জনগণ নজিরবিহীন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ তামাশার সংসদে সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছে।

এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে আইনজীবীরা গত ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এমন একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আইনজীবী, জনগণ স্বাধীন, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখছে। আশা করছি মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসাবে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে ভূমিকা পালন করবে।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ এবং বিচার বিভাগকে উভয়ই সরকারের ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের সহায়ক হয়ে উঠেছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্য জামিন আবেদন নামঞ্জুর এবং দ্রুতগতিতে বিচার পরিচালনা করা ন্যায়বিচারকে কবর দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম গত ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেওয়া উচিত হবে না।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন