বিজ্ঞাপন

ঠিকাদারকে মারধর, ৪ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

February 2, 2024 | 8:40 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চাঁদা না পেয়ে ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মো. তামজিদ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আর এস এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সেকান্দরের ছেলে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত বুধবার (৩১জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ফ্যাকাল্টির সামনে মারধরের শিকার হন তামজিদ উদ্দিন ও তার বন্ধু ফাহিম আলম।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান, সাফায়েত হোসেন, মাশরুর কামাল অনিক এবং মোহাম্মদ হৃদয়।

বিজ্ঞাপন

চারজনই চবি শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা। এদের মধ্যে মেহেদী সহ-সভাপতি, সাফায়েত সাংগঠনিক সম্পাদক, মাশরুর উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এবং হৃদয় সহ সম্পাদক ছিলেন।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা একটি মামলা গ্রহণ করেছি। বিধি মোতাবেক তদন্ত সম্পন্ন হবে। তদন্তে পাওয়া সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে একটি নামফলক নির্মাণের দায়িত্ব পায় মেসার্স আর এস এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সেকান্দর অসুস্থ থাকায় তার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তামজিদ কাজের দেখভাল করছিলেন। গত বুধবার তামজিদসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করতে গেলে বাধা দেন ছাত্রলীগের একদল নেতা। তারা তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ নিয়ে কথাবার্তার মধ্যেই তারা হামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

এতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনার তিনদিন আগে তামজিদের বাবা সেকান্দরকে আসামিরা ফোন করেন। নির্মাণকাজ করতে হলে সাফায়েত হোসেন, মেহেদী হাসান, মাশরুর কামাল অনিক ও হৃদয়কে তিন লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। টাকা না দিলে কাজ করতে দেবে না বলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী তামজিদ উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘চাঁদা না দেওয়ায় আসামিরা আমাকে এলোপাতাড়িভাবে কিলঘুষি ও লাথি মারেন। তাদের হাত থেকে বাঁচাতে আমার বন্ধু ফাহিম আলম এগিয়ে এলে তাকেও আসামিরা লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন। এরপর তারা আমাকে আব্দুর রব হলে নিয়ে গিয়ে ২৫ মিনিটের মতো আটকে রেখে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেন। সেখান থেকে কোনোমতে বের হয়ে আমি প্রক্টর কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য আসামি মেহেদী হাসানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিরি সাড়া দেননি। সাফায়েত, মাশরুর ও হৃদয়ের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আগামী রোববার তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন