বিজ্ঞাপন

চাঁদাবাজি-মজুদদারি বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

February 10, 2024 | 3:47 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের পরিবহন ও পাইকারি বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধে উদ্যোগ নিতে আওয়ামী লীগের নেতা-জনপ্রতিনিধিদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মজুদদারি বন্ধ করার জন্যও নির্দেশ দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করার পর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সূচনা বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে। এজন্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বা পাইকারি বাজার অথবা মজুদদারির জায়গায় আমাদের একটু উদ্যোগ নিতে হবে। চাঁদাবাজি ও মজুদদারি বন্ধ করতে হবে। পণ্য আসলেই, যেখানে যেখানে পাইকারি বাজার সেখানে একবার চাঁদাবাজি, চলার পথে চাঁদাবাজি— এগুলো বন্ধ করতে হবে। এখানে বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি আছেন। এ বিষয়ে আপনাদেরও একটু দৃষ্টি দিতে হবে। কৃষকও যেন ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। আবার চাঁদাবাজি ও মজুদদারির কারণে পণ্যের দাম না বাড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।’

নেতাকর্মীদের জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির অর্থ কোনো ভালো কাজে লাগে না। বরং তাদের (দুর্নীতিবাজ) সন্তানরাই বিপথে যাবে— এই বদনাম যেন না হয়।’

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কেউ জয়ী হয়েছেন, কেউ জয়ী হতে পারেননি। কিন্তু কিছু ভোট তো পেয়েছেন। সেটি মাতায় রেখে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস যেন নষ্ট না হয় তা আপনাদের চলন-বলনে ও কথায় প্রমাণ করতে হবে। কাজ করে মানুষের মন জয় করতে হবে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যেন পিছিয়ে না পড়ি তা মাথায় রাখতে হবে। আপনারা সেভাবে কাজ করবেন, সেটাই চাই।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে ‌‘বিরাট চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র’ হয়েছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন হলে বাংলাদেশের মানুষের যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে, তা অনেকের সহ্য হয়নি। তাই নির্বাচনই যাতে না হয়, এমন একটা চক্রান্ত শুরু করেছিল। ‌বিএন‌পি নির্বাচ‌নে না এসে তা বানচাল করার জন্য জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ শুরু করল। কারণ তারা জানতো, কাজ করে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। আর নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। এজন্যই তারা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছে। এই কাজে উৎসাহ যুগিয়েছিল তাদের কিছু প্রভু।’

বিশেষ বর্ধিত সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম। সভায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের দফতর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞাপন

এই বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্যরা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়ররা এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপিসহ তাদের সমমনা শরিকদের নির্বাচন বয়কটে এবারের জাতীয় নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হন ৬২ জন। যারা আওয়ামী লীগেরই নেতা। আর জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয়লাভ করে। আর দুটি করে আসনে আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি জয়লাভ করে এবং কল্যাণ পার্টি জয় পায় একটি আসনে। তবে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত আছে।

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন