বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ এশিয়ার ৫ দেশকে নিয়ে প্রতিরক্ষা কাউন্সিল গঠনের দাবি

February 22, 2024 | 10:21 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আঞ্চলিক শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করা এবং দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশকে নিয়ে প্রতিরক্ষা কাউন্সিল গঠনের দাবি জাতীয় সংসদে তুলেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মিয়ানমার আজ নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জর্জরিত। মিয়ানমারের রাষ্ট্রতন্ত্রের দ্বায়িত্বে যারা আছেন তাদের বলব— আসুন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নিন। পার্বত্র চট্টগ্রামে যেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রক্তাক্ত সংগ্রাম বন্ধ হয়েছে, সেভাবে আপনারা এ সংঘর্ষ বন্ধ করুন। আপনারা প্রয়োজনে ফেডারেল সরকার গঠন করে বিশ্বকে শান্তি দিন।

এ সময় সাইমুম সরওয়ার এ অঞ্চলের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনে সার্ককে পুনর্জীবিত করা এবং প্রয়োজনে ন্যাটোর আদলে ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপকে নিয়ে একটি প্রতিরক্ষা কাউন্সিল গঠনের দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে— মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের হাতে মাইন চলে গেছে। এই মাইন যেকোনো মুহূর্তে আমাদের দিকে আসতে পারে। তবে আমাদের সেনাবাহিনী অনেক বেশি শক্তিশালী। অনেকে এ অঞ্চলে যুদ্ধ বাঁধাতে চায়। তারা তা পারবে না। মনে রাখতে হবে, এখনো এই যুদ্ধের দামামার মধ্যেও কেউ আমাদের কিছুই দখল করতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে কক্সবাজারের এই সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। বিরোধীদের সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেশের গর্ব যে পদ্মা সেতু করেছেন, তা দেশের দক্ষিণ বাংলার সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের শুধু স্বপ্ন পূরণ করবে না, শুধু তাদের আসা-যাওয়ার পথ সুগম করবে না, বরং এটি তাদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করবে। আমাদের জিডিপিতে অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা যোগ হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যে রেললাইন সম্প্রসারণ করেছেন তাতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যদি মিয়ানমারের যুদ্ধ থেমে যায়, তাহলে আমরা মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে চীনের পণ্য সরাসরি দেশে আনতে পারব ট্রেনে করে। ট্রান্স-এশিয়ান রেললাইনে যুক্ত হবে দেশ। তাতে এই অঞ্চলের ১৪০ কোটি মানুষের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি হবে। মাত্র ১৮ ঘণ্টার মধ্যে চীন থেকে আমাদের যেকোনো শহরে পণ্য এসে যাবে। তাতে আমাদের জিডিপিতে যোগ হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। আমরা আগামী ১০ বছরেই আমাদের এ বিনিয়োগ উঠে যাবে।

বিজ্ঞাপন

গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে সাইমুম সরওয়ার বলেন, শুধু সমুদ্রবন্দর বাবদ বিদেশিরা যে অর্থ নিয়ে যেত, তা বন্ধ হলো। আমি আশা করি, মহেশখালী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবছর ২০ হাজার কোটি টাকা আমাদের সঞ্চয় হয়ে যাবে।

নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সারাবিশ্বে শেখ হাসিনা একটি রোল মডেল। খুব ভালো লাগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের মাইক্রো ইকোনমি নিয়ে যখন গবেষণা করে। অথচ এই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসাবে আখ্যায়িত করার চেস্টা করা হয়েছিল। সেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। এটাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেকে বলেছিল স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। এই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। উন্নয়নকে তারা সমর্থন করেছে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সেটি প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল বিএনপি, খালেদা জিয়া এবং ‘কুলাঙ্গার’ তারেক রহমান, লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করার মাধ্যমে। কিন্তু বাংলাদেশের পথকে তারা বিচ্যুত করতে পারেনি। দেশের ১৬ কোটি মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে, ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মোহম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, মুহিবুর রহমান মানিক, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, নূর মোহম্মদ ও শাহীন আক্তার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন