বিজ্ঞাপন

মোস্তাফিজে বিধ্বস্ত বেঙ্গালুরু

March 22, 2024 | 10:19 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়ে তার যে পারফরম্যান্স তাতে চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) দলে জায়গা পেলেও ম্যাচের একাদশে জায়গা পাবেন বলে তার ভক্তরাও খুব বেশি আশাবাদী ছিলেন না। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের একাদশে বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের নাম তাই অনেকটা চমক হয়েই এসেছিল। তাকে একাদশে নিতে চেন্নাইয়ের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, সেটি প্রমাণ করতেও সময় নিলেন না মোস্তাফিজুর।

বিজ্ঞাপন

এবারের আইপিএলে শেষ পর্যন্ত প্রথম উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই নিয়েছেন দুটি উইকেট। ছয় ওভার বিরতির পর আবার যখন বল হাতে পেয়েছেন, দুটি উইকেট নিয়েছেন সেই ওভারেও। শেষ পর্যন্ত চার ওভারের স্পেলে ২৯ রান দিয়ে ৪  উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন মোস্তাফিজ। প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে (আরসিবি) ১৭৩ রানের মাঝারি সংগ্রহে আটকে রাখতেও রেখেছেন কার্যকর ভূমিকা।

শুক্রবার (২২ মার্চ) চেন্নাইয়ে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সিএসকে-আরসিবি। প্রতিপক্ষ দলের ক্যাপ্টেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস মাত্রই হাত খুলে খেলতে শুরু করেছেন। পাওয়ার প্লের মধ্যে তাই পঞ্চম ওভারেই ডাক পড়ল মোস্তাফিজের। প্রথম বল ডট, দ্বিতীয় বলে ডুপ্লেসিস মারলেন বাউন্ডারি। তৃতীয় বলটিই স্লোয়ার করলেন মোস্তাফিজ, সীমানায় রাচিন রবীন্দ্রের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিলেন ২৩ বলে ৩৫ রান করা ডুপ্লেসিস।

এখানেই শেষ নয়, ডুপ্লেসিসের প্রস্থানে ক্রিজে এসেছিলেন যে রজত পাতিদার, তাকেও থিতু হতে দেননি মোস্তাফিজ। মুখোমুখি তৃতীয় বলেই চমৎকার লাইনে বল করে উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন তাকে। তিন বলে শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাতিদার।

বিজ্ঞাপন

পরের ওভারে দীপক চাহার প্যাভিলিয়নে ফেরান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। এরপরই অবশ্য মোস্তাফিজকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন সিএসকে ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গোয়াইকড়। ফিরিয়ে আনেন ছয় ওভারের বিরতি দিয়ে। ততক্ষণে বিরাট কোহলির সঙ্গে ক্যামেরন গ্রিন উইকেটে জমে উঠতে শুরু করেছেন। তবে এসেই আবার ভয়ংকর হয়ে ওঠেন মোস্তাফিজ।

ইনিংসের দ্বাদশ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই মোস্তাফিজ স্লোয়ারে সীমানায় ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন কোহলিকে। আজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে র‌্যালিতে সে ক্যাচ ধরেন রাচিন। ২০ বলে ২১ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন কোহলি। ঠিক এক বল পরেই মোস্তাফিজের শিকার ক্যামেরন গ্রিন। লেগ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেন্থে পিচ করা সিগনেচার ডেলিভারি কাটার দিয়ে বোল্ড করেন তাকে। ২২ বলে ১৮ রান করে ফেরেন গ্রিন।

এরপর দিনেশ কার্তিক ও অনুজ রাওয়াত দেখেশুনে খেলে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন চেন্নাইকে। ১৬ ওভার শেষে যখন তাদের রান ৫ উইকেটে ১১৬, তখন ডেথ ওভারের শুরুতেই ডাক পরে মোস্তাফিজের। দ্বিতীয় বলে একটি বাউন্ডারি খেলেও ওভারটিতে মাত্র ৭ রান দেন তিনি। পরের ওভারে অবশ্য খেলা নিজেদের দিকে টেনে নেন আরসিবির রাওয়াত। ৩ ওভারে ১৩ রান দেওয়া তুষার দেশপান্ডের এক ওভারেই তুলে নেন ২৫ রান। ৭-এর কিছু বেশি থাকা রানরেট এক লাফে ৮ ছাড়িয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

ইনিংসের ১৯তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভার করার দায়িত্ব পান মোস্তাফিজ। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া দিনেশ আর রাওয়াতের কাছে এবার খুব একটা ছাড় পাননি। তৃতীয় বলে রাওয়াতের হাতে খেয়েছেন ওভার বাউন্ডারি। পরের বলে অবশ্য ম্যাচের পঞ্চম উইকেটটি পেয়েও যেতে পারতেন। তবে সেটি হাতে জমাতে পারেননি দীপক চাহার। পরে দিনের কার্তিকও একটি বাউন্ডারি মেরেছেন। শেষ ওভারে মোস্তাফিজকে গুনতে হয়েছে ১৬ রান। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট— এই বোলিং ফিগারে ম্যাচ শেষ করেছেন মোস্তাফিজ। আরসিবির ইনিংস শেষ হয়েছে ১৭৩ রানে।

সারাবাংলা/এফএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন