March 30, 2024 | 4:20 pm
ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারিয়া রহমান এর আত্মহত্যার এক বছর পার হলেও শিক্ষার্থীদের একটি দাবিও বাস্তবায়ন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় গতবছর ৩০ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শেকৃবি শিক্ষার্থী মারিয়া রহমান।
শিক্ষার্থীদের দাবি— একাডেমিক ক্লাস-পরীক্ষার চাপ এবং কিছু শিক্ষকের অমানবিক আচরণের বলি হয়েছেন মারিয়া। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি করে মানসিক সমস্যার কারণে মারিয়া আত্মহত্যা করেছেন।
শিক্ষার্থী মারিয়া রহমানের মৃত্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে এবং সাতটি দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় আত্মহত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, ক্যারিঅন ব্যবস্থা চালু, সিটি-কুইজ পরীক্ষা কমিয়ে এক সিটি ও এক ফাইনাল এবং এক্সাম উইক চালু, ব্যবহারিক খাতা লেখার পরিবর্তে ক্লাস নোট প্রদান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে সুস্পষ্ট আচরণবিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
তবে ঘটনার এক বছর অতিক্রান্ত হলেও একটি দাবিও বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোলজিস্ট নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে খুব শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বারবার জানানো হলেও তা হয়নি। এ ছাড়াও ল্যাব খাতা বন্ধ করে ক্লাসে তা সম্পন্ন করার আদেশ জারি হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় কোনো বিভাগেই সে আদেশ মানা হয় না বলেও জানা যায়।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আন্দোলনের সময় আমাদের আশ্বাস দেওয়া হলেও দৃশ্যমান কিছুই করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের অনেকেই এখন মানসিক অবসাদে ভোগেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই কোনো সাইকোলজিস্ট। শুধু শোনা যায় নিয়োগ হবে, কিন্তু কবে হবে জানি না। ল্যাব খাতা লিখাটাও একই রকম।’
শেকৃবি ছাত্র-পরামর্শক অধ্যাপক ড ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখেছি। পরীক্ষার ক্ষেত্রে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এমন পরীক্ষা পদ্ধতি বিদ্যমান, ক্যারি অন এর বিষয়ে আলোচনায় কেউ ঐকমত্য প্রকাশ করেনি। সাইকোলজিস্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা ইউজিসি কে জানিয়েছি যেন একটা পোস্ট সংযুক্ত করা হয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি যেন দ্রুত একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়।’
সারাবাংলা/একে