বিজ্ঞাপন

জড়িত থাকলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানও গ্রেফতার হবে: ডিবি

April 22, 2024 | 12:58 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সনদ জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ওএসডি থাকা কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ছাড়া সনদ জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত হিসেবে ওই বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান সাংবাদিকসহ যাদের নাম বলেছেন, তাদেরও পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আমরা ডেকেছি। তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। সনদ জালিয়াতিতে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, এ ছাড়া সনদ জালিয়াতির ঘটনায় সাংবাদিকসহ আরও যাদের নাম এসেছে, তাদের সবাইকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব আমরা। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তদন্ত করে সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনকে (৫৪) শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। একইসঙ্গে কামরাঙ্গীরচর হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান (৪৮) ও ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুনকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে সার্টিফিকেট বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন তারা।

এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রোববার রাতে সনদ বাণিজ্যের ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় থাকা কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে ওএসডি করে অধিদফতরে ন্যস্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার তাকে ওএসডি করার প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এরও আগে ডিবি লালবাগ বিভাগ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১ এপ্রিল রাজধানীর পীরেরবাগ এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার করে। একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের ব্যক্তিগত বেতনভুক্ত সহকারী ফয়সালকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যমতে, বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র এবং শত শত সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরির মতো বিশেষ কাগজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, শতাধিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়।

পরে গত ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়ার সদর থানা এলাকা থেকে গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার কলিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার এ তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন