April 30, 2024 | 11:47 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: এপ্রিলের শুরু থেকে চলছে একটানা তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমের মধ্যে ভোগান্তি বাড়িয়েছে লোডশেডিং। এ অবস্থায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নতুন করে জানালেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মেয়র তাপস গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ নিশ্চিত করতে শপিং মল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার যে আহ্বান বিদ্যুৎ বিভাগ রেখেছে, তা সবাইকে মানতে হবে। না মানলে ডিপিডিসিকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে ফেলা হবে।
রাত ৮টায় দোকান বন্ধ রাখার নিয়ম নতুন— এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মেয়র বলেন, আমরা কয়েক বছর আগেই এ ঘোষণা দিয়েছি। আমরা অভিযান চালাব। যৌথ অভিযান হবে। যারা ৮টার পরে দোকানপাট খোলা রাখবে, বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার চেষ্টা করবে, আমরা ডিপিডিসিকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করব, যেন করে ৮টার পর আর কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পারে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২৯ এপ্রিল) সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। ওই সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণ হয়েছে ১২ হাজার ৭৫৩ মেগাওয়াট। অর্থাৎ ঘাটতি ছিল তিন হাজার ৪৪৭ মেগাওয়াট। চাহিদা ও সরবরাহের এই ঘাটতির কারণে গত কয়েক দিনে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে।
এ অবস্থায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হলেও চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।
বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের সহযোগিতা চেয়ে ৮ দফা করণীয় তুলে ধরা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এগুলো হলো—
বিদ্যুৎ সেবা নিয়েযে কোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হটলাইন নম্বর ১৬৯৯৯-এ যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সারাবাংলা/আরএফ/টিআর