বিজ্ঞাপন

ঈদুল আজহা ও আমাদের অর্থনীতি

June 16, 2024 | 1:43 pm

সৈয়দ আমিরুজ্জামান

ধর্মীয় তাৎপর্যের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে দুটি ঈদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স আমদানি ও রপ্তানি দুটোই বৃদ্ধি পায়।

বিজ্ঞাপন

দেশীয় শিল্পের পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ও ক্রয়-বিক্রয় বহুগুণে বেড়ে যায়। ঈদে যেমন জিনিসপত্র বিক্রয় থেকে আয় বাড়ে, তেমনি জিনিসপত্র ক্রয়েও ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এতে জাতীয় অর্থনীতিতে এক ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য পরিলক্ষিত হয়।

ঈদ উদযাপনকে আনন্দময় করতে প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠায়।

কুরবানির ঈদ উদযাপনে সবচেয়ে বেশি অর্থের লেনদেন হয় পশুর বাজার ঘিরে। পশুর বাজারে গত ঈদে বিক্রি হয়েছিল ৬০ হাজার কোটি টাকার, এবার লক্ষ্য ৭৫ হাজার কোটি টাকার। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পশুর চামড়ারও ভূমিকা রয়েছে। অন্যদিকে বছরের অন্য যেকোনো মাসের চেয়ে এ সময় রেমিট্যান্স আসে সবচেয়ে বেশি। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী এবং গার্মেন্টস শ্রমিক ও সারাদেশের দোকান কর্মচারীদের বেতন-বোনাস যুক্ত হয় ঈদ বাজারে। রোজার ঈদে পোশাক ও খাদ্যপণ্যে মানুষ বেশি ব্যয় করে। তবে এই ঈদেও এ খাতে ব্যয় নেহায়েত কম নয়। একইভাবে লবণ, মসলা, ছুরি-চাকু, পরিবহন, ভ্রমণ-বিনোদন বাবদও বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়।

বিজ্ঞাপন

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মানুষের সম্পৃক্ততা বিবেচনায় নিলে ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতির গুরুত্ব দিনকেদিন বাড়ছে। বিশেষত আমাদের দেশে মুসলমানদের বেশিরভাগই এখন পশু কুরবানি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। কুরবানির আগে ও পরে মিলিয়ে সপ্তাহ দেড়েক সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। পশুর হাট থেকে শুরু করে ব্যাংকপাড়া এবং পণ্যবাজার থেকে কামারবাড়ি-সবখানেই এখন চরম ব্যস্ততা।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘যদিও দেশের মানুষের আর্থিক টানাটানি আছে এবারও, তবু আমার বিশ্বাস কুরবানির ঈদ ঘিরে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কারণ এই সময় অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকাংশই চলে ঈদকে ঘিরে। আর এ কারণেই প্রতি বছরই দেশের অর্থনীতিতে ঈদের গুরুত্ব বাড়ছে। তবে ঈদ বাজারের সর্বক্ষেত্রে যদি সঠিক ব্যবস্থাপনা করা যায় এবং সরকারি দফতরগুলো যদি ঠিকমতো কাজ করে তা হলে ঈদ অর্থনীতির প্রকৃত সুফল নিতে পারবে সরকারও। আর যদি সরকারের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ না করে এই সময়, তা হলে ঈদ বাজারের প্রকৃত সুফল ঘরে তুলতে পারবে না। ঈদ বাজার থেকে যে হারে আয়কর বা অন্যান্য খাত থেকে অর্থ নেওয়ার কথা, সে হারে নিতে পারবে না।’

পশুর বাজারে ৭৫ হাজার কোটি টাকা কেনাবেচার প্রত্যাশা _

বিজ্ঞাপন

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে দেশে কুরবানি দেওয়ার হার যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে কুরবানির পশুর সংখ্যাও। ২০২২ সালে দেশে কুরবানি দেওয়া হয় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু। ওই বছর দেশে কুরবানি দেওয়ার যোগ্য গবাদিপশু ছিল ১ কোটি ২১ লাখ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে দেশে কুরবানি দেওয়া হয় ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি, যার আর্থিক মূল্য ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। গত বছর কুরবানিযোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এবার দেশে কুরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি। প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবার কুরবানি দেওয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫ হাজার থেকে ১ কোটি ১০ হাজার হতে পারে। যার মূল্য হতে পারে ৭০-৭৫ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য কুরবানি দেওয়ার পর এবার ২৫-২৬ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেন বলেন, দেশে প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭ লাখ ছোট বড় খামার আছে। ১২ লাখ হলেন একদম প্রান্তিক কৃষক। এর সঙ্গে এক কোটি লোক যুক্ত। এটা গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

তার কথায়, দেশে বছরে যে এক কোটি ২০ লাখ গরুর চাহিদা তারমধ্যে ৫০-৫৫ লাখ কোরবানির সময় লাগে। ফলে কোরবানির ঈদে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ঈদের সময় ৭৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। তারমধ্যে ৬০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন গবাদি পশু কেন্দ্রিক।

তিনি জানান, ২০২১ সালে করোনার মধ্যেও কোরবানির ঈদের আগে লকডাউন তুলে দেয়া হয়েছিলো এই কুরবানির ঈদের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে।

বিজ্ঞাপন

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজাজ্জামান বলেন, নানা দিক থেকে বিবেচনা করলে এখন কুরবানির ঈদের অর্থনীতির আকার এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ৭৫ হাজার কোটি টাকার হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংকের পুরনো হিসাব। কারণ গবাদি পশু ছাড়াও এরসঙ্গে আরো অনেক বিষয় যুক্ত হয়েছে। এখানে মশলার বাজার আছে, কসাইদের আয় আছে, পশু খাদ্যের ব্যবসা আছে। আর কম হলেও এই ঈদেও মানুষ নতুন পোশাক কেনে।

তার কথায়, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে কুরবানির পশু এখন ফিক্সড ডিপোজিটের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। গৃহস্থ, ছোট ছোট কৃষক চার-পাঁচটি গরু লালনপালন করে কুরবানির বাজারে বিক্রি করে। এখান থেকে বছরে সে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করে। যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে।

তিনি বলেন, কুরবানির গরুসহ গবাদি পশুর মানও ভালো। কারণ এগুলো যত্ন নিয়ে লালন পালন করা হয়।

ঈদের অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুঈদ রহমান। তিনি বলেন, আমার বিবেচনায়ও কুরবানির ঈদের অর্থনীতির এখন এক লাখ কোটি টাকার কম হবেনা। ঈদসহ যেকোনো উৎসবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। কিন্তু কুরবানির ঈদের বিশেষত্ব হলো গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।

তার কথায়, এর সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যায়। আমাদের চামড়া শিল্পের প্রায় ৫০ ভাগ চামড়াই এই সময় সংগ্রহ করা হয়। আর মানসম্পন্ন চামড়ার প্রায় শতভাগই এই সময়ে পাওয়া যায়।

পশুর চামড়ার বাজার _

পশু কুরবানির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিতে চামড়ার ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, প্রতি বছর দেশে দেড় কোটিরও বেশি পশুর চামড়া পাওয়া যায়। এর প্রায় ৬০ শতাংশই আসে কুরবানির পশু থেকে। চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ খাতের মূল বাজার ৪-৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য বাজারসহ এ খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।

বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীন আহমেদ বলেন, এবার কুরবানির ঈদে বিভিন্ন ধরনের ৭৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ হতে পারে। গত বছর ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিলো কুরবানির ঈদে। এবার অর্থনৈতিক কারণে কুরবানি কম হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয় বছরে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের।

ড. মুঈদ রহমান বলেন, এখন গরুর ফেলে দেয়া নাড়িভুঁড়িসহ বিভিন্ন অংশও বিদেশে রপ্তানি হয়। প্রতিবছর এখন প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকার এই ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়।

বছরের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ঈদের আগে _

বছরের যে কোনো মাসের চেয়ে দেশে রেমিট্যান্স বেশি আসে এই কুরবানির ঈদের আগে। বছরের অন্য মাসের পুরো ৩০ দিনে যেখানে রেমিট্যান্স আসে ১৫ থেকে ১৬ হাজার কোটি- টাকার মতো, সেখানে কুরবানির ঈদের আগের মাত্র দুই সপ্তাহেই আসে ১৬ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার মতো।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে গত মে মাসে ২২৫ কোটি (২.২৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর চলতি জুন মাসের প্রথম ৭ দিনেই প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।

প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এর আগে কখনোই এক দিনে ১০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসেনি।

বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা) হিসাবে। টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে যা ১ হাজার ২২৪ কোটি। মাসের বাকি ১৮ দিনেও এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক ৩১১ কোটি ২৭ লাখ (৩.২৭ বিলিয়ন) ডলারে পৌঁছবে। যা হবে একক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। যেহেতু আগামী ১৭ জুন ঈদুল আজহা, তাই বাকি কয়েক দিনে যত রেমিট্যান্স আসবে তাতে ঈদের আগে চলে আসবে ১৬ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা।

অন্যান্য পণ্য _

প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখটন। রসুনের চাহিদা ৫ লাখ টন, আদা ৩ লাখ টন। এর উল্লেখযোগ্য অংশই কুরবানিতে ব্যবহার হয়। গরম মসলা বিশেষ করে এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, তেজপাতারও উল্লেখযোগ্য অংশ কুরবানিতে ব্যবহার হয়। কুরবানির বাজারে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হবে এসব পণ্যে। কুরবানির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো কামার আইটেম। ছুরি, বঁটি, দা, চাপাতি, কুড়াল, রামদা ছাড়া কুরবানিই সম্ভব নয়। সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কুরবানিতে পণ্যটির বাজার এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঈদে পরিবহন খাতে অতিরিক্ত যাচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

এ উৎসবে ভ্রমণ ও বিনোদন বাবদ ব্যয় হয় ৪ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে আরও কয়েকটি খাতের কর্মকাণ্ড অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে ২০ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সম্ভাব্য বোনাস বাবদ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। দেশব্যাপী ৬০ লাখ দোকান কর্মচারীর বোনাস ৫ হাজার কোটি টাকা। পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৭০ লাখ শ্রমিকের সম্ভাব্য বোনাস ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ অর্থ ঈদ অর্থনীতিতে বাড়তি যোগ হচ্ছে। এ ছাড়া কুরবানির ঈদে ফ্রিজের বিক্রি বেড়ে যায়। কুরবানির ঈদে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ফ্রিজ বিক্রি হয় বলে জানা গেছে।

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, কুরবানিকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। এ অর্থ শহর থেকে গ্রামে আবার গ্রাম থেকে শহরে আসছে। এক কথায় ঈদকে ঘিরে দেশের সর্বত্র একটা কর্মচাঞ্চল্য দেখা দেয়, গতি আসে অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে।

তিনি বলেন, সত্য বলতে কি- আমরা যারা ব্যবসায়ী তারা সারা বছর অপেক্ষায় থাকি দুই ঈদ বাজারের। এর মধ্যে রোজার ঈদ বাজার থাকে পোশাক ও খাদ্যপণ্যকে ঘিরে, আর কুরবানির ঈদ চাঙ্গা থাকে পশুর বাজারকে কেন্দ্র করে। যদিও এখন দেশের মানুষ আর্থিক টানাপড়েনে রয়েছে, তবু আমাদের প্রত্যাশা এবারের ঈদেও সব শ্রেণির ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালো হবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, দুই ঈদ এবং পহেলা বৈশাখ এই তিনটি বড় উৎসবে আমাদের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। এর বড় কারণ টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। কুরবানিতে গরু আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ বাড়ায়। গ্রামের পশু শহরে আসে। শহরের টাকা গ্রামে যায়। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। আরেকটি ব্যাপার হল রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। এর প্রভাব পড়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। মানুষের হাতে টাকা আসে। ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজেটে যেমন কেন্দ্র থেকে অর্থ যায় গ্রামে। এখানে ঠিক উল্টো। গ্রামের মানুষের রেমিট্যান্স কেন্দ্রে চলে আসে।

পরিশেষে বলি, ঈদে উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা বেশি কেনাকাটা করবেন। নিম্ন, মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ কেনাকাটা করবে খুবই কম। কারণ দেশে এখন মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের বেশি।

লেখক: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট

প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন