বিজ্ঞাপন

‘খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই’

October 30, 2018 | 11:07 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা পাওয়ায় আগামী নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দুদকের রিভিউ গ্রহণ করে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা আরও ৫ বছর বাড়ানোর পর তারা এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন- আপিলে খালেদা জিয়ার সাজা বেড়ে ১০ বছর

রায়ের পর এক ব্রিফিংয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, আজ এই রায়ে সব আপিলকারীদের আপিলগুলো খারিজ করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে দুর্নীতি দমন কমিশনরে পক্ষে যে রিভিশন দায়ের করা হয়েছিল, সে রিভিশন মঞ্জুর করা হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনি তো দণ্ডপ্রাপ্ত। আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এই দণ্ড পরিবর্তন না হলে এবং তিনি খালাস না পেলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, দুই রকম ব্যাখ্যা আছে— সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা অথবা সাজা বাতিল করা। এ ক্ষেত্রে আমার অভিমত হলো— কারও বিরুদ্ধে যদি সাজা হয়ে থাকে, তাহলে তার সাজা বাতিল করতে হবে। সাময়িক স্থগিত করে নির্বাচন করা যাবে না বলে আমি মনে করি।

যদি আপিল বিচারাধীন থাকে তাহলে কী হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল পেন্ডিং থাকলেও লাভ হবে না। স্থগিত হলে জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু সেটা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নয়।

বিজ্ঞাপন

পলাতকদের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা পলাতক আছেন, তারা আপিল করেননি। তাদের বিষয়ে হাইকোর্টের বলার অবকাশ নেই। যারা সামনে আছে, তাদের প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলতে পারবেন। হাইকোর্ট থেকে বাতিল না করা পর্যন্ত পলাতকদের সাজা বহাল থাকবে নিশ্চয়।

খালেদার আইনজীবীদের উপস্থিত না থাকার বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, এটা তাদের ইচ্ছা। গত চার মাস সব ধরনের সুযোগ আদালত দিয়েছিলেন। এমন সুযোগ নজিরবিহীন। আজও আদালতে তাদের প্রতিনিধি ছিলেন।

খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমরা রায়ের বিস্তারিত এখনও দেখেনি। তবে অনুমান করতে পারি, এই মামলার মুখ্য আসামি খালেদা জিয়া। অন্যান্য আসামি যেখানে ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, সেখানে মুখ্য আসামি পাঁচ বছর সাজা পেতে পারেন না।

বিজ্ঞাপন

হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে, যদি কোনো মন্ত্রী পদ থাকা অবস্থায় ২ বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত হন এবং পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজা না যায়, উনি আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আজ খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

দুদকের আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা বাড়নোর যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। তিনি এই মামলার মূল আসামি। বিচারিক আদালতে এই মামলায় তাকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের আবেদন ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। এ কারণে আমরা রিভিশন করেছিলাম। এই রায়ে আপাতত আমরা সন্তুষ্ট।

খুরশিদ আলম বলেন, আজ খালেদা জিয়াসহ অন্য দুই আসামির আপিলের রায়ের জন্য দিন ঠিক করা ছিল। উচ্চ আদালত এই তিনটি আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের যে রুল ছিল সাজা বাড়ানোর জন্য, হাইকোর্ট সেটা মঞ্জুর করেছেন এবং খালেদা জিয়ার সাজা ৫ থেকে ১০ বছর বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার মানে, এখন এই মামলার সব আসামির সাজা ১০ বছর হয়েছে।

তিনি বলেন, আসামিপক্ষ হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে কি না, সেটা দেখা যাবে। রায়ের কপি পেতে সময় লাগবে। এখন সেই সময় আসেনি। দুইটি কোর্টের রায় এখানে বহাল হয়ে গেছে।

সারাবাংলা/এজেডকে/আইএ/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন