বিজ্ঞাপন

তিনশ ফিট রাস্তার নাম ‘মুক্তিযোদ্ধা সরণি’ করার প্রস্তাব মেয়রের

December 16, 2018 | 6:40 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঢাকার কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে বালু নদী পর্যন্ত তিনশ ফিট রাস্তার নাম ‘মুক্তিযোদ্ধা সরণি’ করার প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এই প্রস্তাব করেন মেয়র খোকন।

তিনি বলেন, “তিনশ ফিট ঢাকার সবচেয়ে দীর্ঘ ও প্রস্ত রাস্তা। আমার জানা মতে এটা এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। মাত্রই রাস্তাটা নির্মাণ শেষ হয়েছে। এ সভার মাধ্যমে আমি প্রস্তাব করছি এই সড়কের নাম মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের স্বরণে ‘মুক্তিযোদ্ধা সরণি’ করা হোক।” সেসময় উপস্থিত পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সদস্যরা হাত তুলে মেয়রকে সমর্থন জানান।

বিজ্ঞাপন

মেয়র বলেন, “সবার সম্মতি পাওয়া গেলে দুই সিটি করপোরেশন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে তিনশ ফিট রাস্তার নাম ‘মুক্তিযোদ্ধা সরণি’ নামকরণের প্রস্তাব করবে। এরপর তাদের বিবেচনা সাপেক্ষে এই রাস্তার নামকরণ করা হবে।”

এর আগে, সকাল থেকেই ঢাকা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্য, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সদস্যরা জড়ো হন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। জাতীয় পতাকা, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা ও পুনর্মিলনী।

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষের পদচারণে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম জমে উঠে বিজয় মেলা। ছোট ছোট শিশুরা গায়ে লাল সবুজ পোশাক জড়িয়ে দৌড়ে বেড়াতে থাকে শীতের নরম রোদে। ওদিকে মূল শামিয়ানার নিচে জমে উঠে দিবসের মূল আনুষ্ঠানিকতা। একে একে মুক্তিযোদ্ধা বলতে থাকেন তাদের যুদ্ধ দিনের স্মৃতির কথা।

তারা স্মরণ করেন দেশের যুদ্ধের বিভীষিকার কথা। বলেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে জেগে উঠার কথা, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে দেশকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির কাছে নত হবার লজ্জার কথা। আবার স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির জেগে উঠার কথা।

এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা।

বক্তারা জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের সন্তানদের চাকরির বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছে সিটি করপোরেশন দুটি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএ/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন