বিজ্ঞাপন

নৌকায় ভোট দিলে জনগণ লাভবান হয়: প্রধানমন্ত্রী

September 18, 2018 | 10:23 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশবাসীকে উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিলে লাভবান হয়। তাদের উন্নতি হয়। ২০০৯ সাল থেকে একটানা ২০১৮ পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় আছি এবং ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলাম; এই সময়েই প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপ লাইনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্ধোধন শেষে ভিডিও কনফারেন্সে প্রকল্প এলাকা নিয়ে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপ লাইনের কাজ ছাড়াও ভারতীয় এলওসি’র অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

‘জাতির পিতা আমাদেরকে শুধু স্বাধীনতা দিয়ে যান নাই। আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের প্রবৃদ্ধি আমরা এখন অর্জন করতে ৭ দশমিক ৮৬ ভাগ। বাংলাদেশে এটা সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। আমাদের মূল্যস্ফীতি ৪ ভাগে নামিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আজকে দেশের অর্থনীতি যথেষ্ট মজবুত ও শক্তিশালী।’

এই উন্নয়নের ধারাটা যাতে অব্যাহত থাকে সে জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিলে লাভবান হয়। তাদের উন্নতি হয়। যেহেতু আমরা ২০০৯ সাল থেকে একটানা ২০১৮ পর্যন্ত ক্ষমতায় আর ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলাম; এই সময়েই প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে।

দেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলেই তাদের সেবা করার সুযোগটা পেয়েছি উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়তি দেশের জনগণের সুবিধাপ্রাপ্তি বা লাভবান হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে তেল সংকট মাঝে মাঝে দেখা দিত, সেটা আর কখনও দেখা দেবে না। এর ফলে আমরা আরো অনেক কাজ করতে পারব। এরইমধ্যে আমরা একটা প্রকল্প নিয়েছি বিদ্যুতের থেকে প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হচ্ছে, সেখানে আমরা একটি ডিজেল ভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করব।’

বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে চাই সেকথাও উল্লেখ করে শেখ হাসিনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ করে তিনি আমাদের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন এবং এই প্রকল্পগুলো যৌথভাবে উদ্বোধন করছেন। আমাদের দুই দেশের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব রয়েছে, ১৯৭১ সালে তাদের সহযোগিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সেটা আমরা সবসময় স্মরণ করি। সবচেয়ে বড় কথা আজকে দুই দেশের সহযোগিতায় আমরা যে অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পারছি তাতে বাংলাদেশের জনগণেই লাভবান হচ্ছে।

বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যা যা করণীয়, আমরা তা করে যাচ্ছি। আমাদের উন্নয়নটা হচ্ছে সুষম উন্নয়ন। সমস্ত জায়গা মিলে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির আমলে রেল তো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যেন এই রেলের মাধ্যমে আমাদের সাধারণ মানুষের যোগাযোগটা হয়, যাতায়াত হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে যেতে পারেন, পণ্য পরিবহন করতে পারে। সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিচ্ছি।

যোগাযোগের ব্যবস্থার উন্নয়নে একদিকে আমরা রাস্তাঘাট করছি, আমরা নদী খনন করে নৌপথ উন্নয়ন করছি। রেলপথ যোগাযোগটাও বৃদ্ধি করছি। এক্ষেত্রেও ভারত সরকার যথেষ্ট সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বলেন, যে সমস্ত কাজ করছি আজকে উত্তরবঙ্গের আর কোনো দুঃখ থাকবে না। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার থেকে সবদিক উন্নতি হবে।

সারাবাংলা/এনআর/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন