বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুর খুনি নূরকে ফেরাতে কানাডার কাছে অনলাইন আবেদন

September 28, 2018 | 4:02 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কানাডা সরকারের কাছে অনলাইন আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে (আইইবি) ‘গৌরব একাত্তরের’ সহযোগিতায় আইইবি‘র কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আলোচনা সভা এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী বরাবর অনলাইনে স্বাক্ষরগ্রহণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহাকালের মহানায়ক উল্লেখ করে বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার সবকটি উপাদান বঙ্গবন্ধুর মধ্যে বিদ্যমান ছিল। ‘আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান’ বঙ্গবন্ধুর এই উক্তির মধ্যে তিনি তার পরিচিতি তুলে ধরেছেন।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। গত দশ বছরের বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করার দেশে উন্নীত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেন্স ইউনিয়নের সদস্যপদ অর্জন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত স্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ একুশ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দিয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্থাপিত ভিত্তিকে সুসংহত করেন। গত পৌনে দশ বছরে তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল দুনিয়ায় নেতৃত্বদানকারী দেশে নিজের অবস্থান সুসংহত করেছে।

২০০৮ সালে দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল সোয়া চার লাখ। ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত তা সাড়ে পনের কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৭.৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আরও বলেন, অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লবের কোনটিতেই বাংলাদেশ অংশ নিতে পারেনি। তা স্বত্বেও ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে আইইবি‘র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, গৌরব একাত্তরের সভাপতি এসএম মনিরুল ইসলাম মনি ও সাধারণ সম্পাদক এফএম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এএস

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন