বিজ্ঞাপন

চা রপ্তানিকারক দেশ এখন আমদানিকারক!

January 6, 2018 | 9:49 am

হৃদয় দেবনাথ, মৌলভীবাজার

বিজ্ঞাপন

চা রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে পঞ্চম স্থান দখল করে থাকা বাংলাদেশ এখন নিজেই আমদানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতি বছরই ৩ কোটি কেজি চা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রপ্তানি হতো। তবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন রপ্তানি কমে যায়। রপ্তানি নয় বরং দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে গত তিন বছরে আমদানি করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ ২১ হাজার ৪০৫ কেজি চা।

এ সব চা আমদানি করা হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা ও ভারত থেকে। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের হিসেবে, দেশে এখন ১৬৩টি চা-বাগান এবং ২৫৭ জন ক্ষুদ্র চাষী চা উৎপাদন করছেন। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৯০টি, হবিগঞ্জে ২৩টি, চট্টগ্রামে ২২টি, সিলেটে ১৯টি, পঞ্চগড়ে ৭টি এবং রাঙামাটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি করে চা-বাগান আছে। দেশের চা-বাগানগুলোর মোট আয়তন ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর। কিন্তু এর মাত্র ৪৭ শতাংশ জমিতে এখন চা চাষ হয়। ৬২ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে বর্তমানে চা চাষ হয় না।

বিজ্ঞাপন

২০০৮ সালে দেশের চা-বাগানগুলোয় ৫ কোটি ৮৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। সে বছর দেশে চায়ের মোট চাহিদা ছিল ৫ কোটি ২২ লাখ কেজি। ২০০৯ সালে চায়ের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি কেজিতে।

পরের বছরও একই পরিমাণ উৎপাদন হয়। কিন্তু এ সময় চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ কোটি ৭৫ লাখ কেজিতে। সে অবস্থায় ২০১১ সালে চায়ের উৎপাদন আগের চেয়ে কমে যায়। সে বছর উৎপাদিত হয় ৫ কোটি ৯১ লাখ কেজি চা। এই সময়ে চাহিদা বাড়ে ১০ লাখ কেজি।

বিজ্ঞাপন

তাতে মোট চাহিদার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৮৫ কেজিতে। অবশ্য ২০১২ সালে দেশে উৎপাদনের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। উৎপাদিত হয় ৬ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা। সে সময় চাহিদাও ৬ কোটি কেজি ছাড়িয়ে যায়। মোট চাহিদার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ কোটি ১০ লাখ কেজি। ফলে অভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশে চায়ের উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না।

একটি সূত্র জানায়, গত তিন বছরে সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৮৮ কেজি চা আমদানি হয়েছে ২০১১ সালে।

এ ছাড়া ২০১০ সালে ২৯ লাখ ৭০ হাজার ৩২২ এবং ২০১২ সালে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৫ কেজি চা আমদানি করা হয়। দেশে চায়ের উৎপাদন গত ৫ বছরে বেড়েছে ৪৫ লাখ টন। একই সময়ে দেশে চায়ের চাহিদা বেড়েছে ৮৮ লাখ টন। অর্থাৎ উৎপাদনের দ্বিগুণ হারে দেশে চায়ের চাহিদা বাড়ছে।

সারাবাংলা/আরডি/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

 

 

 

 

 

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন