বিজ্ঞাপন

ইভিএম বিধিমালা চূড়ান্ত, এবার তফসিল বৈঠকে ইসি

November 4, 2018 | 4:31 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবারের (৩ নভেম্বর) মুলতবি করা কমিশন বৈঠক ফের রোববার (৪ নভেম্বর) শুরু করে এই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়। এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে ইসি।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৪ নভেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে বিকেল ৩টায় শুরু হয় শনিবারের মুলতবি হওয়া কমিশন সভা। বিকেল সোয়া ৪টার পর সভাটি শেষ হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তফসিল নিয়ে বৈঠকে বসার কথা থাকলেও পৌনে ৬টার দিকে শুরু হয় এই  বৈঠক।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এবং চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী উপস্থিত আছেন। তবে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বৈঠকের শুরুতে উপস্থিত ছিলেন না। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বৈঠকে যোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় ইসির কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ইভিএম ব্যবহারের বিধিমালা নিয়েও শনিবারের মুলতবি বৈঠকটি রোববার শুরু হবে।

পরে রোববার এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর ইভিএম বিধিমালা চূড়ান্ত হয়। এখন আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে তা গেজেট আকারে জারি করবে ইসি সচিবালয়। ইসির যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান, এছাড়া সভায় একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিও সংশোধন, আচরণবিধিমালা সংশোধন, স্বতন্ত্র প্রার্থী যাচাই বিধিমালাও সংশোধন করা হয়েছে।

ইভিএম বিধিমালা পাওয়ায় সংসদ নির্বাচনে এর ব্যবহারের সার্বিক বিষয় চূড়ান্ত হলো। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ইভিএম চালুর আট বছর পর প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। ২০১০ সালের জুন মাসে স্বল্প পরিসরে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ইভিএম চালু হয়। ২০১৫ সালের এসে ওই ইভিএম বন্ধ হয়ে যায়। পরে ডিজিটাইজড সুবিধার নতুন ইভিএম তৈরি করে ইসি। ২০১৬ সালে রংপুর সিটি নির্বাচনে তা চালু হয়। পরে গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনেও ব্যবহার করা হয় এই মেশিন। এর দু’বছরের মাথায় সংসদে নতুন প্রযুক্তিটি চালু হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

’জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএম বিধিমালা ২০১৮’-এ রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, ভোট গণনা, ফল একত্রীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন বলছে, আইনি ভিত্তি পাওয়ার পর স্বল্প পরিসরে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। কয়টি কেন্দ্রে এই মেশিন ব্যবহার করা হবে, তা কমিশনই চূড়ান্ত করবে। দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে এসব কেন্দ্র বাছাই করা হবে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছেন সিইসি।

এ সপ্তাহের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনর তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। সিইসির জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ভোটের তারিখ ও ইভিএম নিয়ে বিস্তারিত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

যেভাবে ভোট ইভিএমে

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় নির্বাচনে এই ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে রংপুর, খুলনা, গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে। আঙুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটা দেওয়া যাবে এই মেশিন দিয়ে। নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটকক্ষে একজন করে ভোটার ভেরিফিকেশন করবেন পোলিং অফিসার।

ডেটাবেজে ভোটার বৈধ হিসেবে শনাক্ত হলেই ভেরিফিকেশনের সঙ্গে যুক্ত প্রজেক্টের মাধ্যমে তা পোলিং এজেন্টের কাছে দৃশ্যমান হবে।

মেশিনটিতে কুইক রেসপন্স কোডসহ (QR CODE) আরও কিছু তথ্য সম্বলিত টোকেন মুদ্রণ করে ভোটারকে দেওয়া হয়।

ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে এলে ভোটিং মেশিনের QR CODE স্ক্যানারের মাধ্যমে শনাক্ত করে গোপন কক্ষে থাকা তিনটি পদের জন্য ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হবে। ভোটার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বাম দিকে বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন এবং ওই ব্যালট ইউনিটের সবুজ রঙের CONFIRM বোতাম চেপে তার ভোট শেষ করবেন।

কোনো কারণে ভুলবশত কোনো প্রতীক নির্বাচন করা হলে ব্যালট ইউনিটের লাল রঙের CANCEL বোতাম চেপে পরে যেকোনো প্রার্থীকে আবার নির্বাচিত করা যাবে। এভাবে দুই বার CANCEL করা যাবে, তৃতীয়বার যেটি নির্বাচিত করা হবে, সেটি বৈধ ভোট হিসেবে গৃহীত হবে।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন