বিজ্ঞাপন

খাশোগি হত্যায় যুবরাজের ভূমিকা নিশ্চিত করতে ট্রাম্পকে চিঠি

November 21, 2018 | 1:31 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

বিজ্ঞাপন

সৌদি লেখক ও সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডে ক্রাউন প্রিন্স জড়িত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি পাঠিয়েছে সিনেট। খবর বিবিসির।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের পররাষ্ট্র নীতিমালা বিষয়ক কমিটির ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে দ্বিতীয় একটি তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে বিয়ের কাগজপত্র আনতে গিয়ে খুন হন খাশোগি। হত্যার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে এসিড দিয়ে গলিয়ে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

তুর্কি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এই অভিযান পরিচালনা করতে ঘটনার দিন তুরস্কে প্রবেশ করেছিল ১৫ সদস্যের একটি সৌদি দল। ওই দলে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের তিন সহযোগীও ছিলেন। অভিযোগ ওঠেছে খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্স নিজে।

এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সৌদি আরব সমালোচিত হলেও ট্রাম্প দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অপরিবর্তনীয় রাখার পক্ষে কথা বলেছেন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, খাশোগির হত্যার পেছনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত থাকতে পারেন। ট্রাম্প বলেন, হয়তো তিনি জড়িত ছিলেন, হয়তো ছিলেন না।

এদিকে, সৌদি আরব এই ঘটনায় ক্রাউন প্রিন্সের জড়িত থাকার সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) বরাত দিয়ে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্প এ বিষয়ে বলেন, সিআইএ’র অনুসন্ধান শতভাগ নিশ্চিত নয়। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পরই ইউএস সিনেট ফরেইন রিলেশন্স কমিটির পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে চিঠি পাঠান রিপাবলিকান সিনেটর বব কর্কার ও ডেমোক্র্যাট বব মেনেন্ডেজ।

চিঠিতে তারা ট্রাম্পের কাছে খাশোগি হত্যাকাণ্ডে মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় একটি তদন্ত চালুর আহবান জানিয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় দায়মুক্তি, নির্যাতন ও অন্যান্য গর্হিত মানবাধিকার লঙ্ঘনে কোন বিদেশী ব্যক্তি জড়িত ছিল কিনা তা নিশ্চিত করতেও তদন্ত চালুর আহবান জানিয়েছে সিনেট নেতারা।

সিনেট নেতারা গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস একাউন্ট্যাবিলিটি এক্ট’র আওতায় চিঠিতে আহবান জানিয়েছেন। এর মানে হচ্ছে আগামী ১২০ দিনের মধ্যে এই চিঠির জবাব দিতে হবে ট্রাম্পকে।

সারাবাংলা/ আরএ

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন