বিজ্ঞাপন

জনকণ্ঠের বকেয়া পরিশোধে ৩ পক্ষের চুক্তি সই, আজ বের হচ্ছে পত্রিকা

December 24, 2018 | 1:00 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে দৈনিক জনকণ্ঠের অচলাবস্থা সাময়িকভাবে কেটে গেছে। ফলে সোমবার (২৪) থেকে প্রকাশিত হচ্ছে পত্রিকাটি। তবে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে কর্মীদের পুরো বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ‘আগাম আন্দোলনে’র হুমকিও দিয়ে রেখেছেন পত্রিকাটির বর্তমান ও সাবেক কর্মীরা।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে জনকণ্ঠের মালিক পক্ষ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ডিইউজে জনকণ্ঠ ইউনিটের মধ্যে এই চুক্তি সই হয়। এরপর জনকণ্ঠের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজে যোগ দেন। এর আগে, শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে কর্মীরা বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতিতে গেলে রোববার (২৩ ডিসেম্বর) পত্রিকাটি বের হয়নি।

রোববার সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগে কর্মরতদের দুই মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে জনকণ্ঠের মালিকপক্ষ। আর ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারির মধ্যে ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে। একইসঙ্গে এক মাসের বকেয়া বেতনও পরিশোধ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ বছরের ৪ অক্টোবর সম্পাদক, মুদ্রকার ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের সই করা বকেয়া বেতন পরিশোধের নোটিশের সময় ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত বাড়িয়ে এই সময়ের মধ্যে যাবতীয় বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। এবং প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারী ও শ্রমিকদের আগের মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। যারা বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগে জনকণ্ঠে কর্মরত আছেন, তারা অব্যাহতভাবে তাদের চাকরিতে বহাল থাকবেন। জনকণ্ঠের সাবেক কর্মীদের বকেয়া বেতন ও ন্যায্য পাওনাও একইসঙ্গে পরিশোধ করতে হবে।

এর আগে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত জনকণ্ঠ ভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন পত্রিকাটির মালিক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ। একইসঙ্গে ভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়ে দফায় দফায় আলোচনা চলে। এগিয়ে আসেন সাংবাদিক নেতারাও। তবে পত্রিকাটির মালিক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ শনিবার রাতের আলোচনায় সাংবাদিক নেতাদের কথায় কর্ণপাত করেননি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলায় পড়ুন: বকেয়া বেতন দাবিতে এখনও অবরুদ্ধ জনকণ্ঠ ভবন

পরে কর্মীদের টানা আন্দোলনে রোববার রাতে সাংবাদিক নেতাদের একটি প্রস্তাব দেন মালিক মাসুদ। পরে জনকণ্ঠের সাংবাদিক ও কর্মীদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষ ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। এতে সই করেছেন জনকণ্ঠের সম্পাদক, মুদ্রাকার ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ; সংগঠন হিসেবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন দৈনিক জনকণ্ঠ ইউনিট।

এদিকে, পত্রিকার এই অচলাবস্থার ঘটনা জেনে জনকণ্ঠে ভবনে ছুটে আসেন বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক নেতা ও সংবাদ সংশ্লিষ্ট জনকণ্ঠের শুভাকাঙ্ক্ষীরা। শনিবার রাত থেকেই জনকণ্ঠ কার্যালয়ে ভিড় করেন সাবেক কর্মীরা। সংশ্লিষ্ট সব মহল ন্যায্য আদায়ের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। অচলাবস্থার এ ঘটনা নজরে আসে সরকারের ওপরের মহলেরও। বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দিনভর সমঝোতার চেষ্টা চলে। শেষ পর্যন্ত রোববার রাতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে অচলাবস্থার সাময়িক সমাধান মিলেছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর/এসএন

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন