বিজ্ঞাপন

৩ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে

January 2, 2019 | 6:21 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সক্ষমতা বাড়ায় সাম্প্রতিক সময়ে জাহাজ হ্যান্ডলিং এবং কনটেইনার ও খোলা পণ্য খালাসে রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত একবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো জাহাজ ও কনটেইনার জট তৈরি হয়নি। বরং জাহাজের অভাবে এখন খালি পড়ে থাকে বন্দরের জেটি।

ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও পরিবহন ধর্মঘটের সময় জাহাজ থেকে পণ্য ও কনটেইনার খালাসে অচলাবস্থা দেখা দিলেও পরবর্তী সময়ে তা দ্রুতই সামাল দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রায় ২৯ লাখ ৪ হাজার টিইইউ কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। ২০১৭ সালের চেয়ে বিদায়ী বছরে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ টিইইউ কনটেইনার। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৩ লাখ ৫০ হাজার, ২০১৫ সালে ২০ লাখ। সে হিসাবে দুই বছরের ব্যবধানে কনটেইনার পরিবহনের ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

শুধু তাই নয়, গত একবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসার পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ হাজার ৩৭০টি জাহাজ এসেছিল। ২০১৮ সালে জাহাজ এসেছে ৩ হাজার ৭৪৭টি। এসময় মোট ৯ কোটি ৬৩ লাখ ১১ হাজার ২২৪ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহন হয়েছে। ২০১৭ সালে পণ্য পরিবহন হয়েছিল ৮ কোটি ৫২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪৮ মেট্রিক টন।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, অত্যাধুনিক ছয়টি নতুন কি-গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনা হয়েছে। এগুলো খালাসে যুক্ত হওয়ার পর গতি বেড়েছে। এখন বন্দরে যন্ত্রপাতির কোনো অভাব নেই। এছাড়া নতুন নতুন ইয়ার্ডও তৈরি হয়েছে। প্রায় ১০ হাজারের বেশি কনটেইনার রাখার ইয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বন্দরে এখন জাহাজ ও কনটেইনার জট একেবারেই নেই।

গত বর্ষায় (জুন-জুলাই) তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে তিন দিন খোলা পণ্য খালাস বন্ধ থাকার তথ্য দিয়ে বন্দর সচিব বলেন, ‘তখন কয়েকটি জাহাজকে জেটিতে অলস বসে থাকতে হয়েছিল। এর বাইরে এখন জেটিগুলো জাহাজের জন্য খালি হয়ে বসে থাকে। আগে বহিঃনোঙ্গরে ২০-২২টি জাহাজ জেটিতে ভেড়ার অপেক্ষায় থাকত। এখন এর পরিমাণ শূন্যের কোঠায়।’

বিজ্ঞাপন

তবে গত সেপ্টেম্বরে প্রাইম মুভার ও ট্রেইলরের মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে রফতানি পণ্যবাহী ১৭৭টি কনটেইনার (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের) ফেলে চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়ে বিদেশি জাহাজ ‘উরসোলা’। তৈরি পোশাক শিল্পের এসব কনটেইনার বেসরকারি কনটেইনার ডিপো থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে জাহাজীকরণের কথা ছিল। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে এসব পণ্য কনটেইনার ডিপো থেকে বেরই হতে পারেনি। এ অবস্থায় বন্দর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল জাহাজটি।

তবে বন্দরের নিজস্ব সমস্যার কারণে কোনো জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে দেরি হওয়া কিংবা জাহাজ জেটিতে ভিড়তে বিলম্বের কোনো তথ্য নেই বন্দর সংশ্লিষ্টদের কাছে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, কয়েক বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এই অগ্রগতির কারণে আমদান-রফতানি পণ্য পরিবহনে অনেক ইতিবাচক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা যেমন হচ্ছে, বিদেশেও ভাবমূর্তি বাড়ছে।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন