বিজ্ঞাপন

দেশকে অগ্রযাত্রার পথে এগিয়ে নিতে নতুন মন্ত্রিসভার অঙ্গীকার

January 8, 2019 | 3:38 am

।। নৃপেন রায়, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় হেভিওয়েটদের বাদ দিয়েই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনি ইশতেহারের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই মন্ত্রিসভায় তিনি স্থান দিয়েছেন এক ঝাঁক নতুন মুখকে। বিশাল জনপ্রত্যাশা পূরণের মহা চ্যালেঞ্জ জয়ে বাংলাদেশকে অগ্রযাত্রার পথে এগিয়ে নিতে অঙ্গীকার করলেন সেই মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

সোমবার (৭ জানুারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এমন প্রতিক্রিয়াই জানালেন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা।

এদিন প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথবাক্য পাঠ করান নতুন মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এরপর একে একে শপথবাক্য পাঠ করেন ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী, তিন জন উপমন্ত্রী। এর মধ্যে এই প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়েছেন ৯ জন, প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন ১৫ জন। আর উপমন্ত্রী তিন জনের জন্যই এটি মন্ত্রিসভায় প্রথম অভিজ্ঞতা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার শপথ অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, `কারও হারানোর কিছু নাই। নো বডি ইজ গোয়িং টু লুজ এনিথিং। আমার মনে হয় এটা দায়িত্বের পরিবর্তন, দায়িত্বের রূপান্তর। আমাদের সরকারের মধ্যে দলটা হারিয়ে যাক, আমরা চাই না। সেখানে সরকার আর দলের যে আলাদা সত্ত্বা আছে, সেটা রাখতে হলে রেসপন্সিবল লিডারদের একটা অংশকে দলের দায়িত্বে রাখতে হবে। কেউ বাদ পড়েছেন এটা বলব না। কেউ সরকারে দায়িত্ব পালন করবেন, কেউ আরও বেশি করে দলের দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের যে চ্যালেঞ্জ, তা মোকাবিলা করতে হলে দলকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে।’

শপথ নিলেন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা

সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ নিয়ে বের হওয়ার পর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি গ্রামকে শহর করার যে ঘোষণা ইশতেহারে দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করাই আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি শপথ গ্রহণ শেষে বের হয়ে সারাবাংলাকে বলেন, `আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবো এবং ২০২১ সালের মধ্যে ফিফটি বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ক্রিয়েট করার প্রচেষ্টা করবো। পাশাপাশি দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে তরুণ-যুবকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবো।’

শপথ গ্রহণ শেষে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দীর্ঘ ছয় বছর প্রচার সম্পাদক হিসেবে দলের দায়িত্ব পালন করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে রাষ্ট্রের তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছেন, তা আমি যথাযথভাবে পালন করবো। দেশের মানুষ আমাদের আবারও ক্ষমতায় এনেছেন। মানুষকে আমরা নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এখন সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য।’

নতুন সরকারের নতুন দায়িত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্বাচনি অঙ্গীকারের প্রতিশ্রুতিসহ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছা পোষণ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘নতুন দায়িত্ব পালন করা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ জয় করার সক্ষমতা আমার আছে। আমি এ দায়িত্ব পালনে আশাবাদী।’

এর আগে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর ছোট বোন শেখ রেহানা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনাকে। এসময় দুই বোন পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় হাত নেড়ে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

শপথ অনুষ্ঠানে শেখ রেহানা ছাড়াও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/এসএমএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন