বিজ্ঞাপন

নিরাপত্তা কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

January 23, 2019 | 11:37 am

।। জাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি পদপ্রার্থী ও তার নির্বাচনি প্রচার কর্মীদের মারধরের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনের বহিষ্কারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্রও জমা দেন তারা। পরে রাত ৩টার দিকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের আশ্বাসে কর্মচারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে জাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটে।

চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অভিযোগ, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি পদপ্রার্থী মো. শরিফ মিয়া ও তার নির্বাচনি প্রচার কর্মীদের মারধর করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সুদীপ্ত শাহীন বলেছেন, শরীফ ও সহযোগীরাই তার দলের ওপর হামলা চালিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগপত্রে মো. শরীফ মিয়া উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনি প্রচারণার কাজে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাঙ্গামাটি এলাকায় অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন মাতাল অবস্থায় এসে বাইক নিয়ে চক্কর দিতে থাকেন ও তার দিকে বাইকের আলো স্থির করে ধরে রাখেন। তিনি এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে ও প্রতিবাদ জানালে সুদীপ্ত শাহীন গালাগাল করেন। পরে এ ঘটনা উপাচার্যকে জানাতে তিনি ও তার সহযোগীরা উপাচার্যের বাসভবনের দিকে রওনা দেন।

অভিযোগে বলা হয়, পথে জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন স্থান পর্যন্ত এলে সুদীপ্ত শাহীন ১০/১২ মুখোশধারীসহ হঠাৎ এসে তাকে ও তার সহযোগীদের মারধর করেন। এসময় তারা তাদের সঙ্গে থাকা দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনাটি সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল দেখেছেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন শরীফ।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগের বিষয়ে সুদীপ্ত শাহীন বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে শরীফ ও তার সঙ্গে থাকা বহিরাগতরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের দুই কর্মচারী আহত হয়ে এনাম মেডিক্যালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমি স্পট থেকে ঘটনাটি প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার মহোদয়কে জানিয়েছি। এখন উল্টো তারা আমার নামে অভিযোগ দিয়ে বিচার চাচ্ছে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সারাবাংলা/টিআই/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন