বিজ্ঞাপন

সরকারি দল-বিরোধী দল সমান ট্রিটমেন্ট পাবে : সিএমপি কমিশনার

January 28, 2019 | 4:59 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকারি দল-বিরোধী দল না দেখে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে আগামী পাঁচ বছর রাজনৈতিক সন্ত্রাস মোকাবেলা করতে চান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান।

সোমবার (২৮ জানুয়ারি) নগরীর পাঁচলাইশে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানিয়েছেন।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত ১০ বছর যেভাবে চলেছেন সামনের ৫ বছরও সেভাবে চলবেন বলে যদি কেউ মনে করে থাকেন, তা হবে না। এটা পুলিশের জন্য যেমন প্রযোজ্য, সন্ত্রাসীদের জন্যও প্রযোজ্য, মাদক ব্যবসায়ীদের জন্যও প্রযোজ্য। যারা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেন, তাদের জন্যও প্রযোজ্য।’

বিজ্ঞাপন

রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নগর পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা গত কয়েকদিনে দেখেছেন- সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই, সেটা যে-ই করুক, তিনি সরকারি পার্টি হোক আর বিরোধী পার্টি হোক, সবাই সমান ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন। সবাইকে হুঁশিয়ার করতে চাই, দলীয় পরিচয় আমাদের কাছে মুখ্য নয়। আমরা আগামী পাঁচ বছর নিরপেক্ষভাবে কাজ করব। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের নিরপেক্ষ অবস্থান থাকবে।’

সিএমপি কমিশনার বলেন, যে জনপ্রতিনিধি মানুষের কথা বলবেন, মানুষের ভালোর জন্য এগিয়ে আসবেন, সেই জনপ্রতিনিধি টিকে থাকবেন। যে জনপ্রতিনিধি মানুষের কথা বলবেন না, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবেন, তিনি জনপ্রতিনিধি হতে পারবেন না।’

খারাপ পুলিশ শনাক্ত ও ভালো কাজে সমর্থন-সহযোগিতা চেয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের পাশে দাঁড়ান। পুলিশের মধ্যে সবাই ভালো মানুষ, এটা কখনোই বলব না। আমাদের মধ্যেও খারাপ মানুষ আছে। ভালো পুলিশকে পুরস্কৃত করতে চাই। খারাপ পুলিশকে তিরস্কৃত করতে চাই। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা খারাপ পুলিশকে শনাক্ত করতে পারব। আমাদের সহযোগিতা করুন। সামনের দিনে নতুন সময়, নতুন সরকার, নতুন দিন। আমরা নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাব। আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন, নতুন সরকার হবে অনেক অনেক এডভান্স।’

বিজ্ঞাপন

পুরো শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে বিত্তবানদের সহযোগিতাও চান সিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, ‘মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা ব্যয় হয় একটি সিসি ক্যামেরায়। এরকম ১০০ ক্যামেরা লাগানোর মতো ১০০০ লোক আছে চট্টগ্রাম মহানগরীতে। আমরা আশা করব, বিত্তবান লোকজন তার ঘরের নিরাপত্তা, মহল্লার নিরাপত্তা, বাসার নিরাপত্তার জন্য এগিয়ে আসবেন। আমরা আশা করি, সারা শহর সিসিটিভির আওতার মধ্যে আসবে।’

সিসিটিভি সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত, ছিনতাইকারীর জন্য সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেন সিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, যেসব ছিনতাইকারী মোটর সাইকেল থেকে মোবাইল টেনে নেয়, স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়, মেয়েদের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় তাদের জন্য সতর্কবার্তা।

সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, সারা ইউরোপে, পশ্চিমের সকল দেশে, শহরের প্রতিটি ইঞ্চি সিসিটিভির আওতার মধ্যে। এজন্যই সেখানে অপরাধ হলেও সেটা দ্রুত উদঘাটন হয় এবং অপরাধী শনাক্ত ও গ্রেফতার হয়। আমরাও সারা শহরকে সিসিটিভির আওতাভুক্ত করে আরও সুনিপুণভাবে অপরাধ উদঘাটন করতে চাই।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় লাগানো ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা উদ্বোধন করা হয়েছে। এসব ক্যামেরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মনিটরিং করা হবে।

সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, শুলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোরশেদ আলম এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম।

সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন