বিজ্ঞাপন

পেট্রোল ঢেলে শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা, দোষীদের খুঁজে পায়নি পুলিশ

April 6, 2019 | 11:37 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ফেনী: ফেনীতে মাদ্রাসার এক ছাত্রীর গায়ে আগুনের ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করলেও কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। এই ঘটনায় এখনো হয়নি কোনো মামলাও। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটায়।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ রয়েছে এর বেশকিছু দিন আগে, ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ্দৌলা। তাই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে গত ২৭ মার্চ আটক করে। বর্তমানে অধ্যক্ষ সিরাজ কারাগারে রয়েছেন। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ক্ষোভের বশে অধ্যক্ষের অনুগত শিক্ষার্থীরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

অগ্নিদগ্ধ ছাত্রীর ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান জানান, সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে তার বোন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যায়। এরপর ওই ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে অধ্যক্ষের নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদরাসার ছাদে তুলে গায়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন। মেয়েটির শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু তাহের জানান, ছাত্রীর শরীরের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. কামাল হোসাইল জানান, ছাত্রীর শরীরে কে আগুন দিয়েছে এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছেনা। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাদে এরকম একটি ঘটনা ঘটিয়ে চলে যাওয়াটা রহস্যজনক। কারণ পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। সেখানে চতুর্দিকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মাদ্রাসার ছাদ থেকে নামার অন্য কোনো সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল পারভেজ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা মাঠে তদন্ত করছেন। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএইচ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন