বিজ্ঞাপন

অগ্নিদগ্ধ দীপিকাকে বাঁচানো গেল না, স্বামীসহ গ্রেফতার ৩

May 4, 2019 | 8:25 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর নাম দীপিকা আশ্চার্য্য মনিকা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায়  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত মঙ্গলবার রাতে দীপিকার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে তার শরীরের ৯২ শতাংশ পুড়ে যায়।

এর আগে দীপিকাকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার স্বামী বিপুল আচার্য্য, ভাসুর সজল আচার্য্য ও শাশুড়ি সন্ধ্যা রানী আচার্য্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীপিকার বড় ভাই অরবিন্দ আচার্য্য ওই দিন হাজীগঞ্জ থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। গ্রেফতার তিন আসামিকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাজীগঞ্জ থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি।

ওসি জানান, বৃহস্পতিবার (২ মে) দিপিকার ভাসুর সজলকে হাজীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর স্বামী বিপুল ও শাশুড়ি সন্ধ্যা রাণী আশ্চার্য্যকে ঢাকা মেডিকেল থেকে গ্রেফতার করে রাতেই হাজীগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। অপর আসামি সজলের স্ত্রী দিপা আশ্চার্য্যকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার তিন জনকে শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দিপিকার বড় ভাই অরবিন্দ আশ্চার্য্য। সেটিকে হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অরবিন্দ আচার্য্যের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে দীপিকাকে হত্যা করা হয়েছে। বিপুল মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে তাদের পরিবারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।

হাজীগঞ্জ থানার মামলার সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বকুলতলা রোডের বাসিন্দা বিপুল আচার্য্য ও তার বড় ভাই সজল আচার্য্য গত মঙ্গলবার গভীর রাতে দীপিকা আচার্য্যকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে রাতেই দীপিকাকে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ওইদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

দীপিকার বাবার বাড়ি নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ছোট মাধবদী গ্রামে। হাজীগঞ্জের রঞ্জিত আচার্য্যের ছেলে বিপুলের সঙ্গে আট বছর আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দিপিকার বড় ভাই অরবিন্দ আশ্চার্য্য জানান, বিপুল তার বোনকে শরীরে আগুন লাগানোর আগে মেরে ফেলার জন্য মারধর করে। তার মাথা ও কপাল ফেটে গেছে। বিপুল, সজল, তাদের মা সন্ধ্যা রাণী আশ্চার্য্য, সজলের স্ত্রী দিপা আশ্চার্য্য মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।

সারাবাংলা/এমএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন