বিজ্ঞাপন

এএসআই সেজে ইয়াবা পাচার করত চাকরিচ্যুত কনস্টেবল

May 9, 2019 | 3:57 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ২০১১ সালে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় কয়েক মাসের মধ্যেই চাকরিচ্যুত হতে হয় তাকে। অপরাধের শাস্তি হিসেবে কয়েকমাস জেলও খাটতে হয় তাকে। ওই সময়ই ইয়াবা পাচারকারী একটি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে যান তিনি। একসময় নিজে কনস্টেবল থাকলেও পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেজে ইয়াবা পাচার করতেন তিনি। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) এক অভিযানে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ভুয়া এসআইকে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আরামবাগ এলাকায় কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসা একটি বাস থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করার সময় মাহফুজুর রহমান (৪১) নামে চাকরিচ্যুত ওই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-২ এর সিইও লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি জানান, মাহফুজুর রহমান (৪১) খুলনায় কনস্টেবল হিসেবে যোগ দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে নানা অপরাধে বরখাস্ত হন। কয়েক মাস জেলও খাটেন। জেল থেকে বেরিয়েই ইয়াবা পাচার শুরু করেন।

আশিক জানান, মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসা একটি বাস থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করার সময় র‍্যাব সদস্যদের নজরে আসেন মাহফুজুর। পুলিশের এএসআই র‍্যাংকব্যাজ পরিহিত মাহফুজুরকে তার পরিচয় ও কোথা থেকে আসছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, চট্টগ্রামে আদালতে হাজিরা দিয়ে ঢাকায় ফিরছেন। পোস্টিং হেডকোয়ার্টারে। কিন্তু আইডি কার্ড চেক করলে দেখা যায় সেখানে লেখা কনেস্টবল আর তার পোশাক এএসআই’র। এতে সন্দেহে হলে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে স্থানীয় মতিঝিল থানা পুলিশের সহায়তায় তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে তার ব্যাগ চেক করে ১০ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

সিইও বলেন, মাহফুজুরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় যে, ২০১১ সালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কনস্টেবল পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েকমাস পর নানা অপরাধে তার চাকরি চলে যায়। এ সময় কয়েকমাস জেল খাটতে হয় তাকে। জামিনে বেরিয়ে জেলে থাকাকালীন পরিচয় হওয়া কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলে ইয়াবা পাচার কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ইতোমধ্যে সাতবার সে ইয়াবা পাচার করেছে ২০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকার চুক্তির বিনিময়ে। তিনি মূলত কক্সবাজার থেকে খুলনা যাচ্ছিলেন ইয়াবাগুলো নিয়ে। ঢাকা থেকে খুলনার গাড়ি উঠার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব সিইও জানান, তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তিনি যাদের কাছে এসব ইয়াবা সরবরাহ করেছেন তাদের তালিকা পাওয়া গেছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

সারাবাংলা/এসএইচ/আরএ

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন