বিজ্ঞাপন

কত টাকা টিউশন ফি দেন— ঢাবি শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন ড. জিনাতের

June 27, 2019 | 10:19 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা কত টাকা টিউশন ফি দেন— জানতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছেন র‌্যাংকিংয়ের কথা। এখানে ছাত্র প্রতিনিধিরা আছেন। কত টাকা টিউশন ফি দেন? কত টাকা টিউশন ফি দেন আপনারা?’

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেট অধিবেশনে উপাচার্যের অভিভাষণের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় ড. জিনাত এমন প্রশ্ন রাখেন।

ঢাবি রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি থেকে সিনেট প্রতিনিধি হওয়া এই সদস্য বলেন, ‘আমি যখন ২০০০ সালে লন্ডনে পড়তে যাই, তখন টিউশন ফি ছিল ৮ হাজার পাউন্ড। এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার পাউন্ডও দিতে হয়। কিন্তু আমাদের হলে ছেলে-মেয়েরা ৫০ থেকে ১০০ টাকা দেয়।’ বিদ্রোহের আশঙ্কায় রোকেয়া হলে নবনির্মিত ‘৭ই মার্চ ভবনে’ আবাসিক ফি বাড়ানোর মাধ্যমে আয় বাড়াতে পারেননি— এসময় এমন মন্তব্যও করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, ‘এখন উপাচার্য ২০ টাকা, ৫০ টাকা বাড়াক কিংবা কোষাধ্যক্ষ ২০ টাকা বাড়াক— পারবেন বাড়াতে? ৭ই মার্চ ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। চমৎকার একটি ভবন। ইচ্ছা ছিল সেখানে কিছু টাকা-পয়সা বাড়িয়ে ইনকাম জেনারেট করব। পারলাম না। বিপ্লব হবে, বিদ্রোহ হবে। তাহলে কোথা থেকে টাকা আসবে? আপনারা যে বলেন ইনকাম জেনারেশন, ইনকাম জেনারেশন— কোথা থেকে ইনকাম জেনারেশন করব?’ রোকেয়া হলের নতুন ভবনটি উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ডাকসু নির্বাচন হয়ে ৩০ বছরের জঞ্জাল দূর হয়েছে মন্তব্য করে অধ্যাপক জিনাত বলেন, হলের সব প্রভোস্ট, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে দিনের পর দিন, রাতের পর জেগে ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু করেছি। তবুও আপনাকে (উপাচার্যকে লক্ষ্য করে) শুনতে হয় নির্বাচন কলঙ্কিত করার কথা। কলঙ্কিত করে কারা? যারা ৩০ বছর ডাকসু নির্বাচন দিতে পারেনি, তারা কলঙ্কিত। যারা ভেবেছিল ডাকসু নির্বাচনের নামে ক্যাম্পাসে লাশ ফেলবে, তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

সারাবাংলা/কেকে/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন