বিজ্ঞাপন

সাগরে পড়া কনটেইনারে আছে ‘টেক্সটাইল কারখানার’ কাঁচামাল

June 30, 2019 | 7:23 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জাহাজ থেকে বঙ্গোপসাগরে পড়ে যাওয়া কনটেইনারগুলো এখনো ভাসছে। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে কনটেইনারগুলোতে কি পণ্য ছিল এবং এর আমদানিকারক কারা- সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত তথ্য দিতে পারেনি জাহাজের মালিকপক্ষ ও স্থানীয় প্রতিনিধি। তবে কয়েকটি কনটেইনারে টেক্সটাইল ও কটন কারখানার কাঁচামাল আছে বলে জানিয়েছেন জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ জুন) সকালে কেএসএল গ্ল্যাডিয়েটর নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় পানগাঁও টার্মিনালে যাচ্ছিল। পথে হাতিয়া চ্যানেলে নোয়াখালীর ভাসানচর এলাকায় বাঁধন ছিঁড়ে ৪৩টি কনটেইনার সাগরে পড়ে যায়।

কেএসএল গ্ল্যাডিয়েটর জাহাজটি রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার বুড়িগঙ্গায় পানগাঁও টার্মিনালের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাহাজটিতে কনটেইনার ছিল মোট ৮৬টি। এর মধ্যে ৬৭টি কনটেইনার পানগাঁও সংলগ্ন সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের জেটিতে এবং বাকি ১৯টি পানগাঁওতে খালাসের কথা ছিল। কিন্তু জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে হাতিয়া চ্যানেলে পৌঁছার পর ঝড়ো আবহাওয়ার কবলে পড়ে দুলতে থাকলে ৪৩টি কনটেইনার সাগরে পড়ে যায়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম সারাবাংলাকে জানান, কনটেইনারগুলো এখনো ভাসমান অবস্থায় আছে। ঝড়ো আবহাওয়ায় কাত হয়ে যাওয়া জাহাজটিও সেখানে অবস্থান করছে।

বিজ্ঞাপন

জাহাজ থেকে বঙ্গোপসাগরে পড়ল ৪৩ কনটেইনার

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটির মালিক ঢাকার পান্থপথের গ্রিন রোডের করিম গ্রুপ। করিম শিপিং লাইনসের এসব জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি জারুয়াল শিপিং লাইনস। ৪৩টি কনটেইনারের মধ্যে মার্কস লাইন, এপিএল এবং পিএমএ’র কনটেইনার আছে। বাদশা টেক্সটাইলসহ বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল ও কটন মিলের কাঁচামাল কনটেইনারগুলোতে ছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করিম শিপিং লাইনসের একজন ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘৪৩টি কনটেইনারে আমদানি পণ্যের মালিক বা আমদানিকারক কারা সেটা আমরা চট্টগ্রাম বন্দরে খোঁজখবর নিচ্ছি। বুকিং দেওয়া কনটেইনার আর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেলে তখন আমরা বুঝতে পারব, কনটেইনারগুলোতে কি কি পণ্য আছে। তবে এ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জেনেছি- অধিকাংশ কনটেইনারেই তুলা আছে। এর বাইরেও পণ্য থাকতে পারে।’

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, করিম শিপিং লাইনসের আরেকটি জাহাজ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কনটেইনারগুলো যাতে ডুবে না যায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। পণ্যসহ কনটেইনারগুলো উদ্ধারের আশা করছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন