বিজ্ঞাপন

দেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ মুশফিকের

July 31, 2019 | 2:52 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

মাশরাফি বিন মোর্ত্তজাকে টপকে দেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার মালিক হলেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে একাদশে থাকার মধ্যদিয়ে মুশফিক বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন। মাশরাফি দেশের জার্সিতে খেলেছেন ২১৫ ম্যাচ। এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে মুশফিকের নামের পাশে জমা হলো ২১৬ ম্যাচ।

বিজ্ঞাপন

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আর কিছু পরেই মাঠে নামবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা এবং সফরকারী বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে এরই মধ্যে সিরিজ খুঁইয়েছে সফরকারীরা। সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঙ্কান দলপতি দিমুথ করুনারত্নে। বুধবার (৩১ জুলাই) সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি। গাজী টিভি ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজের সবক’টি ম্যাচ সরাসরি দেখা যাচ্ছে র‍্যাবিটহোলের ওয়েবসাইটে।

২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ওয়ানডে অভিষেক হয় মুশফিকের। একই ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অভিষেক হয়। স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে একাদশে ছিলেন মুশি। তখন উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালন করতেন সাবেক দলপতি খালেদ মাসুদ পাইলট। নিজের অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে নামা হয়নি মুশফিকের। এমনকি নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ব্যাট হাতে নামা হয়নি। ২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে প্রথমবারের মতো ব্যাট হাতে নামেন তিনি। সেদিন ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।

বাংলাদেশের জার্সিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচের মালিক সাকিব। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার খেলেছেন ২০৬ ম্যাচ, চারে থাকা তামিম খেলছেন ২০৪তম ম্যাচে আর পাঁচে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ম্যাচ সংখ্যা ১৮৫।

বিজ্ঞাপন

শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০০তম ইনিংসে ব্যাট করেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত টাইগারদের এই মিডলঅর্ডার ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তৃতীয় ম্যাচের আগে মুশফিক দাঁড়িয়ে আরও একটি রেকর্ডের সামনে। মুশফিক ২১৫ ম্যাচের ২০১ ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে করেছেন ৬০৯০ রান। নামের পাশে ৩৭টি অর্ধশতক এবং ৭টি শতক। তাতে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৮২টি। ক্যারিয়ারে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ১৪৪, আর এই সর্বোচ্চ রান করেছিলেন লঙ্কানদের বিপক্ষেই। তৃতীয় ম্যাচে তামিম ইকবাল কোনো ছক্কা হাঁকাতে না পারলে আর মুশফিক একটি ছক্কা হাঁকালে বাংলাদেশের জার্সিতে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক হবেন। মুশির সমান ৮২টি ছক্কা আছে তামিমের।

প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩১৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে চার নম্বরে নামা মুশফিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৬তম ফিফটি পূর্ণ করেন। ইনিংসের ৩৯তম ওভারে দলীয় ১৯৯ রানের মাথায় বিদায় নেন মুশফিক। তার আগে ৮৬ বলে পাঁচটি বাউন্ডারিতে করেন ৬৭ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে মুশি অপরাজিত থাকেন ৯৮ রানে। ২ রানের জন্য ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি। তার ১১০ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারি।

মুশফিক বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৮, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১০২, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৩, ভারতের বিপক্ষে ২৪ আর পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১৬ রান। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মুশফিক করেছিলেন ৫০ রান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে করেন ৬৭ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন অপরাজিত ৯৮ রান।

বিজ্ঞাপন

সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, শফিউল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম এবং রুবেল হোসেন।

সিরিজের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা একাদশ: দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), আভিস্কা ফার্নান্দো, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, শিহান জয়সুরিয়া, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, আকিলা ধনাঞ্জয়া, কাসুন রাজিথা এবং লাহিরু কুমারা।

সারাবাংলা/এমআরপি

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন