বিজ্ঞাপন

বিজিবির ওপর হামলা বেড়েছে, মাদক উদ্ধার নেমেছে অর্ধেকে

September 12, 2019 | 12:42 pm

এম এ কে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চলতি বছর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের ওপর মাদক কারবারিদের হামলা বেড়েছে। গত জুলাইয়ে হামলায় বিজিবি সদস্য মো. আকমল হোসেনের (কমান্ডার নম্বর ৫০০৩২) মৃত্যু হয়। তবে, গত বছরের তুলনায় এ বছর মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বিজিবির মামলা ও আসামির সংখ্যা বাড়লেও মাদক উদ্ধারের পরিমাণ কমেছে বলে বিজিবির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বিজিবির সূত্রগুলো বলছে, গত বছর (২০১৮ সাল) মাদক কারবারিদের হামলায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়। অন্যদিকে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিজিবির ৪২ জন সদস্য আহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, চলতি বছর কারবারিদের হামলায় বিজিবির একজন সদস্য নিহত হন।

গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বিজিবি মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বেশি মামলা দায়ের করলেও মাদক উদ্ধারের পরিমাণ কম। বিজিবির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে বিজিবি মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ২০০৩টি মামলা দায়ের করে এবং ২১৫১ জন মাদক কারবারিদের আটক করে।

অন্যদিকে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিজিবি ২১৮৮টি মামলা দায়ের করেছে এবং ১৭৬০ জন মাদক কারবারিদের আটক করেছে।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের তুলনায় চলতি বছর একাধিক অভিযানে বিজিবির উদ্ধার করা মাদকের পরিমাণ অর্ধেকে নেমেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর ৪১৮ কোটি ৮১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৬ টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার করেছে বিজিবি। যার মধ্যে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ১৩ হাজার ৬৮২ দশমিক ৩৪৩ কেজি গাঁজা, ৭৯ হাজার ২৮৬ বোতল বিদেশি মদ, ৪ হাজার ৬০৮ দশমিক ৩৫ লিটার দেশি মদ, ৩৬ হাজার ৪৩৫ বোতল বিয়ার, ৩৩ দশমিক ৩৫১ কেজি হেরোইন, ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫১৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১৯ হাজার ৪৪৮টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন রয়েছে।

অন্যদিকে, চলতি বছর বিজিবির একাধিক অভিযানে মাত্র ২০৬ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৪৫৭ টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেক। যার মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৫ হাজার ২৪৯ দশমিক ৩৪২ কেজি গাঁজা, ৫১ হাজার ৬৫ বোতল বিদেশি মদ, ২ হাজার ১৯৭ দশমিক ৭০০ লিটার দেশি মদ, ২ হাজার ৮৪৫ বোতল বিয়ার, ১০ দশমিক ১০৮ কেজি হেরোইন, ৬১ লাখ ৪০ হাজার ৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৮ হাজার দুটি নেশা জাতীয় ইনজেকশন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের তুলনায় মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বিজিবির মামলা দায়ের এবং আসামি আটকের সংখ্যা বাড়লেও মাদক উদ্ধারের পরিমাণ অর্ধেক, বিষয়টি জানার জন্য সারাবাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে এই বিষয়ে বিজিবি সদর দফতরের কেউই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

বিজিবির সূত্রগুলো বলছে, মাদক উদ্ধারের পরিমাণ কমেছে কারণ হচ্ছে মাদক আসছে না। চোরাচালান রুট বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন