বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক অজয় রায়ের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা

November 28, 2019 | 11:55 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিজ্ঞানী ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক অজয় রায়ের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। অধ্যাপক অজয় রায়ের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধ্যাপক অজয় রায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকের অবহিত করেন শাহরিয়ার কবির ও বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (আইসিইউ) চিকিৎসক অধ্যাপক ডা.এ এস এম আরিফ আহসান।

শাহরিয়ার কবির বলেন, অধ্যাপক অজয় রায় একজন খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিজ্ঞানী ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত একজন মানবাধিকার নেতা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়াও অধ্যাপক অজয় রায়ের ছাত্র ছিলেন। ২৫ নভেম্বর তাকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তখন থেকেই তিনি এই হাসপাতালের আইসিইউতে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তার অসুস্থতার খবর জানতে পেরে আমরা এখানে আসি। বর্তমানে তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্র বা ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অবস্থা নেই। তবু আমরা তার উন্নত চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি দ্রুত অধ্যাপক অজয় রায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবেন— আমরা সেটাই কামনা করি।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক অজয় রায়ের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে অধ্যাপক ডা. এ এস এম আরিফ আহসান বলেন, অধ্যাপক অজয় রায় আগে থেকেই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি ফুসফুসের সমস্যাজনিত রোগেও ভুগছিলেন অনেক দিন থেকেই। তার ব্রংকাইটিস, সিওপিডি ছিল। এবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার নিউমোনিয়ার সমস্যাও পেয়েছি আমরা। এখানে আসার পরে শরীরে অক্সিজেন কমে যাচ্ছিল বলে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তার জ্ঞান আছে। তার শারীরিক অবস্থাকে আমরা আশঙ্কামুক্ত বলতে পারি না। আমরা একটি মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছি এবং নিয়মিত ফলোআপ করে যাচ্ছি।

এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে ব্লগার অভিজিৎ রায়। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার সময় জঙ্গিরা কুপিয়ে হত্যা করে তাকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন