বিজ্ঞাপন

‘বিএসএমএমইউ’র ভিসি ও চিকিৎসকদের ঘাড়ে কয়টা মাথা?’

December 6, 2019 | 3:24 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘সরকারের প্রধান নির্বাহী যখন বলেন, সব ঠিক আছে, তিনি (খালেদা জিয়া) সুস্থ আছেন, তখন বিএসএমএমইউ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়) উপাচার্য এবং চিকিৎসকদের কয়টা মাথা আছে যে, তারা বলবেন তিনি খারাপ আছেন?’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ প্রশ্ন তোলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি, তারেক রহমানের সাজা বাতিল এবং স্বৈরাচর পতন দিবস উপলক্ষে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর) বিএসএমএমইউ উপাচার্য আদালত অবমাননা করেছেন। কারণ, ৫ ডিসেম্বরেরর মধ্যে দু’টি রিপোর্ট আদালত চেয়েছিলেন। কোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন, এই রিপোর্ট ডাক্তারদের স্বাক্ষরসহ হাজির করতে হবে। কিন্তু তারা করেননি।’

বিজ্ঞাপন

“তার আগের দিন প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘খালেদা জিয়া খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন!’ এরপর খালেদা জিয়া খারাপ আছেন— এ কথা বলার সাহস কার আছে? আমরা মনে করি, এখানেই তো আদালত অবমাননা হয়েছে,’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

অসুস্থতায় খালেদা জিয়া প্রাণ হারিয়ে ফেলতে পারেন— এমন শঙ্কা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। ডাক্তাররা বলছেন, বিলম্ব হলে তাকে সুস্থ অবস্থায় আর পাওয়া যাবে না। এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। আমরা বলছি সবকিছু বাদ দেন। অন্তত মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।’

‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। আমরা জানি কাজটা সহজ না। তবে এ বিষয়টিও মনে রাখতে হবে— আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে হবে। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে,’—বলেন বিএনপি মহাসচিব।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল সবসময় সরকারের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের নয়, একটা দলের হয়ে কাজ করেন। তিনি দলীয় স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেন। আমরা হতাশ হয়েছি এই ভেবে যে সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগ এই বিষয়টিকে লক্ষ্য করেননি এবং কোনো ব্যবস্থা নেননি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদকে সরিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিল বাঙালি জাতি। আজ সেই জাতি গণতন্ত্রবিহীন অবস্থায়।’

তিনি বলেন, ‘এরশাদের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করলেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যারা রাস্তায় নেমে প্রাণ দিয়ে জাতির জন্য লড়াই করলেন, তাদের সঙ্গে সেদিন যারা বেঈমানি করেছিল, আজ তারা ক্ষমতায়। আজও তারা সেই স্বৈরাচার এরশাদের দলের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এটা কিন্তু বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। সিনহা তার রায়ের পর্যবেক্ষণ বলেছিলেন, আমাদের যা কিছু অর্জন, তা তছনছ করে দিচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্র সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দীন আলম, খন্দকার লুৎফর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন আহমেদ মণিসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন